তামিম-মিঠুনের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পুঁজি
ছোট মাঠ, উইকেটে নেই আর্দ্রতা, ঘাসের ছোঁয়াও নেই, বেশ ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বলা চলে। টসের সময় ব্যাটিং পেয়ে তাই আশার কথা শুনিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু সেই আশাতে শুরুতেই জল ঢেলে দেন লিটন দাস। দলীয় চার রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে একাই দায়িত্ব সামলেছেন তামিম। শেষে দারুণ ভূমিকা রাখেন মোহাম্মদ মিঠুন। দুজনের ব্যাটে চড়ে নিউজিল্যান্ডকে ২৭২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৮ রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মিঠুন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে এরই মধ্যে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তাই আজ বাংলাদেশের জয় ছাড়া বিকল্প নেই। হারলে আজই সিরিজ খোয়াতে হবে সফরকারীদের।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন লিটন দাস (০)। ওভারের চার নম্বর বলে ম্যাট হেনরিকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এর আগে গত ম্যাচে ১৯ রান করেছিলেন তিনি।
দলীয় চার রানে লিটনকে হারানোর পর সৌম্য সরকারকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলান তামিম। দ্বিতীয় জুটিতে দুজন মিলে তোলেন ১১৬ বলে ৮১ রান। এরপর ২০তম ওভারে ফেরেন সৌম্য। মিচেল স্যান্টনারের বলে স্টাম্পড হয়ে ফেরেন ৩২ রান করা সৌম্য।
পরে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তামিম। ওই জুটিতে আসে ৪৮ রান। এর মধ্যে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫০তম হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তামিম। ৮৪ বল খেলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ফিফটির হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করলেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ৪৮ ফিফটি নিয়ে দুইয়ে আছেন সাকিব আল হাসান। মুশফিকুর রহিমের ফিফটি ৩৯টি ও মাহমুদউল্লাহর ২২টি।
হাফসেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন তামিম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না তা। ৩০ ওভারে নিশামের একটি বল মুশফিকুর রহিম আলতো করে খেলেই ছুটতে থাকেন সিঙ্গেল নিতে। ছুটে আসেন বোলার নিশামও। নিচু হয়ে বল কুড়িয়ে থ্রো করার সময় ছিল না নিশামের হাতে। কিউই বোলার বাঁ পায়ে টোকা দেন বলে, যা একদম গিয়ে স্ট্যাম্প স্পর্শ করে। ৭৮ রানে থামতে হয় তামিমকে। ১০৮ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারি। তামিমের পর মুশফিক ফেরেন ৩২ রানে।
এরপর লড়াই করেছেন মিঠুন। মূলত রানের গতি বাড়ান তিনিই। বাকিরা ধীর গতির হলেও মিঠুনের ব্যাট চলছে দ্রুত। ছক্কা মেরে স্পর্শ করেন হাফসেঞ্চুরি। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ১৬ রানে মাহমুদউল্লাহকে বিদায় করে জুটি ভাঙেন কাইল জেমিসন। মাহমুদউল্লাহ ফিরলে বাকি পথ টানেন মিঠুন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পায় ২৭১ রানের সংগ্রহ। ৫৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন মিঠুন।
বল হাতে ৫১ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার। ৩৬ রান দিয়ে কাইল জেমিসন নেন একটি। ৪৮ রানের খরচায় একটি নেন ম্যাট হেনরি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৭১/৬ (তামিম ৭৮, সৌম্য ৩২, লিটন ০, মিঠুন ৭৩*, মুশফিক ৩৪, মাহমুদউল্লাহ ১৬, মেহেদি ৭, সাইফউদ্দিন ৭*; জেমিসন ১০-২-৩৬-১, বোল্ট ১০-০-৪৯-১, হেনরি ১০-৩-৪৮-১, স্যান্টনার ১০-০-৫১-২, নিশাম ৯-০-৭৩-০)