ফরম্যাট বাছাই করে খেলতে চান মুস্তাফিজ
সীমিত ওভারের ক্রিকেটের তুলনায় টেস্ট ক্রিকেটে কমই খেলে থাকেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ক্যারিয়ার দীর্ঘ করতে ফরম্যাট বেছে খেলতে চান। তাই লাল বলের ক্রিকেটে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা কম। অবশ্য বোর্ড তাঁর সঙ্গে বসলে লাল বলের ক্রিকেটের বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করবেন বলে জানিয়েছেন মুস্তাফিজ।
আজ বৃহস্পতিবার ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ ভারতীয় দৈনিক আজকালকে দেওয়া মুস্তাফিজের একটি সাক্ষাৎকার তুলে ধরেছে। সেখানে মুস্তাফিজ বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে টেস্ট ক্রিকেট খেলার বিষয়ে আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করব, যদি তারা জানতে চায়। আমি দেখেছি সিনিয়র ক্রিকেটাররা বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছেন (কিছু ফরম্যাটে খেলা এবং না খেলার বিষয়ে), আমি বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলব। বিসিবি আমাকে কখনই এই বিষয়ে (টেস্ট ক্রিকেট খেলা) বাধ্য করেনি এবং আমি লাল বলের চুক্তিতে নেই।’
কাটার মাস্টার আরও বলেন, ‘আমার সুস্থ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি বাংলাদেশ দলকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সেবা দিতে চাই, তাহলে ফিট থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ফিট থাকার জন্য তিনটি ফরম্যাটের মধ্যে বাছাই করা সবচেয়ে ভালো উপায়। আমি আমার সাফল্য বিবেচনায় ফরম্যাট বেছে নিয়েছি। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে আমার সাফল্য বেশি (টেস্ট ক্রিকেটের তুলনায়)। সে কারণেই আমি এই দুটি ফরম্যাটে ফোকাস করছি। বিশ্বে অনেক ক্রিকেটার ক্যারিয়ার দীর্ঘ করতে ফরম্যাট বেছে নিচ্ছেন। একটি নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের উপর নির্ভর করে একটি দল গঠন করা যায় না।’
সাদা ও লাল বলের ক্রিকেটের জন্য আলাদা পেস ইউনিট গঠন করা উচিত বলে মনে করেন মুস্তাফিজ, ‘আমাকে পেলে পেস ইউনিটের শক্তি বৃদ্ধি করবে এমন চিন্তা করার পরিবর্তে, যদি লাল এবং সাদা বলের ফরম্যাটের জন্য আলাদা পেস ইউনিট করা হয় তাহলে ভারসাম্যপূর্ণ হবে। পেস বোলাররা ধারাবাহিকভাবে ভালো করবে।’
এ ক্ষেত্রে নতুন ক্রিকেটার তুলে আনার পরামর্শ দিয়ে কাটার-মাস্টার বলেন, ‘আমরা জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে নতুন ক্রিকেটারদের এক্সপোজার দিতে পারি। আমরা যদি নতুন ক্রিকেটারদের এক্সপোজার না দিই তবে তাদের কিভাবে বিকাশ করবে।’
আর আইপিএলে খেলা প্রসঙ্গে মুস্তাফিজ বলেন, ‘আইপিএলের প্রতিটি দলই খুব শক্তিশালী এবং ১১ জন খেলোয়াড়ই বিশ্বমানের। তাদের বিরুদ্ধে খেলা সবসময় আপনাকে কিছু শিখতে সাহায্য করবে। বিশ্বমানের খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের সাথে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়ার অভিজ্ঞতা আলাদা। তবে আইপিএল জাতীয় দলের চেয়ে বড় নয়। ২০২০ সালে আমি আইপিএলে খেলিনি কারণ আমাদের শ্রীলঙ্কা সফর ছিল (যা স্থগিত করা হয়েছিল এবং পরে ২০২১ সালের এপ্রিলে খেলা হয়েছিল)। আমি সবসময় জাতীয় দলকে প্রাধান্য দিয়েছি।’