'ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা আর কনে ছাড়া বিয়ে করা একই কথা'
একজন ক্রিকেটারের পক্ষে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা খুবই কষ্টের, অনেকেই এমন মন্তব্য করেছেন। দর্শক ছাড়া স্টেডিয়ামে খেলা হলে ক্রিকেটাররা খুব একটা উজ্জীবিত হন না। গ্যালারি থেকে হাততালি না পেলে একজন ক্রীড়াবিদ ভালো করার অনুপ্রেরণা পান না। তাই করোনা পরবর্তী সময়ে ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলার ব্যাপারে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। এবার সেই দলে যোগ দিলেন পাকিস্তানি তারকা শোয়েব আখতার।
করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে শুরু হয়েছে বুন্দেসলিগা। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম শুরু করছে। কিন্তু ক্রিকেট কবে শুরু হবে তা অনিশ্চিত। ইউরোপের অনেকেই দেশে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে। মৌসুম শুরু করার জন্য কর্তৃপক্ষ যেভাবেই হোক খেলা আয়োজন করছে। কিন্তু এভাবে খেলোয়াড়রা উৎসাহ পাবেন না বলেই মনে করেন শোয়েব আখতার। তিনি বলেন, 'দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা আর কনে ছাড়া বিয়ে করা একই কথা। খেলার জন্য দর্শক জরুরি। দর্শকরাই যে কোনো ম্যাচের প্রাণ। আশা করব আগামী এক বছরের মধ্যেই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।'
২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে কথা বলছিলেন শোয়েব, 'সে ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকার ৯৮ রানে আউট হওয়ায় তিনি হতাশ হয়েছিলেন। শোয়েবের বাউন্সারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন শচীন। সেদিন শচীন স্পেশাল ইনিংস খেলেছিল। ও সেঞ্চুরি করলে খুশি হতাম। আমার বাউন্সারে ছক্কা হলেও আফসোস থাকত না। আমি আশা করেছিলাম শচীন সেঞ্চুরি করবে।'