মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে নবম রোমান-দিয়ার বাংলাদেশ
টোকিও অলিম্পিকে নিজেদের প্রথম দিন গতকাল শুক্রবার শেষ দল হিসেবে রিকার্ভ মিশ্র দ্বৈত ইভেন্ট নিশ্চিত করে রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকীর বাংলাদেশ। আজ শনিবার দ্বৈত ইভেন্টের মূল লড়াইয়ে পারলেন না তাঁরা। নবম হয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছেন রোমান-দিয়া জুটি।
ইউমেনোশিমা ফিল্ডে রিকার্ভ মিশ্র দ্বৈতের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-০ সেট পয়েন্টে হারে বাংলাদেশ। রোমান ও দিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে খেলেন আন সান ও কিম জে ডিওক জুটি।
প্রথম সেটে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৩৮-৩০ ব্যবধানে হারে রোমান-দিয়া। এরপর দ্বিতীয় সেটে কিছুটা লড়াই করেও হারে ৩৫-৩৩ ব্যবধানে। কিন্তু, শেষ সেটে আর পারেননি। শেষ সেটে ৩৯-৩৮ পয়েন্ট ব্যবধানে বিদায় নেন দুজন।
বাংলাদেশের এই জুটিকে নিয়ে স্বপ্ন ছিল অনেক। কিন্তু, দ্বৈত ইভেন্টে কিছুই দিতে পারেননি দুজন। এবার রোমান-দিয়ার ব্যক্তিগত ইভেন্টের দিতে তাকিয়ে বাংলাদেশ।
ব্যক্তিগত ইভেন্টের র্যাঙ্কিং রাউন্ডে ৩৬তম হয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন দিয়া সিদ্দিকী। দিয়ার পর ভালোভাবে শুরু করলেন রোমান সানাও। ৬৬২ স্কোর করে ১৭তম হয়েছেন তিনি। এখন প্রথম রাউন্ডে রোমানের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের টম হল। দিয়ার প্রতিপক্ষ বেলারুশের কারিনা জিওমিনস্কায়া।
গতকাল জাপানের টোকিওতে পর্দা উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ—‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিকের। দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামে হওয়া এবারের প্রতিযোগিতাকে টিভি পর্দাতেই স্বাগত জানিয়েছে গোটা বিশ্ব।
করোনাকালে টোকিও অলিম্পিক হওয়া নিয়ে কদিন আগেও শঙ্কা তৈরি হয়। অ্যাথলেটদের জন্য তৈরি হওয়া ভিলেজে হানা দেয় করোনা। একে একে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। তবুও অলিম্পিক থেকে পিছপা হননি আয়োজকরা। বিভিন্ন ইভেন্টে সারা বিশ্বের প্রতিযোগীদের শুরু হয় খেলাধুলার এই বিশেষ আয়োজনটি।
কাল বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বর্ণিল আলোকসজ্জা, জাপানের নানা সংস্কৃতি নানাভাবে ফুটিয়ে তোলা হলেও করোনার কারণে পুরো স্টেডিয়াম ছিল খালি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই করোনা মহামারির কারণে হারানো পৃথিবীর সব মানুষদের জন্য সমবেদনা জানানো হয়। পালন করা হয় নীরবতা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্চ পাস্টে অংশ নেয় দেশগুলি। ‘নতুন স্বপ্নে অলিম্পিক যাত্রা’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবার টোকিও অলিম্পিকে গেছে বাংলাদেশও। লাল-সবুজের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছে মার্চ পাস্টে। নীল রঙের পোশাক পরে নিজেদের পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন বাংলাদেশিরা।