মুস্তাফিজ যেন আরেক রশিদ খান
ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অন্য এক মুস্তাফিজকে দেখছে অস্ট্রেলিয়া। পুরো সিরিজে এক মুস্তাফিজের স্লোয়ার বল সামলাতেই ধাঁধায় পড়ে গেছে অসিরা। গতকাল সাকিব আল হাসানের বলে তাণ্ডব চালানো ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানও ধরা পড়েন মুস্তাফিজের কাটারে। অসি তারকার চোখে এই মুস্তাফিজ যেন আরেক রশিদ খান।
কাল ম্যাচ শেষে মুস্তাফিজকে বিশ্লেষণ করতে এমনটাই জানালেন ক্রিস্টিয়ান। তাঁর মতে, রশিদ খান দ্রুতগতির স্পিন করলে যেমন হবে, মুস্তাফিজের বোলিংও নাকি তেমনই।
চলতি সিরিজে বাংলাদেশের তিন জয়েরই বড় ভূমিকা ছিল মুস্তাফিজের। এমনকী কাল হেরে যাওয়া ম্যাচেও মুস্তাফিজ ছিলেন দারুণ। তাঁর বোলিংয়ের কারণেই অল্প পুঁজি নিয়ে ১৯ ওভার পর্যন্ত লড়াই করতে পেরেছে স্বাগতিকেরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মুস্তাফিজ। পরের ম্যাচে ২৩ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য উইকেট পাননি। কিন্তু, তাঁর বোলিংই গড়ে দেয় পার্থক্য। ওইদিন ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দেন তিনি। কাল চতুর্থ ম্যাচেও ৯ রান দয়ে দুটি উইকেট নেন কাটার মাস্টার।
ম্যাচ শেষে মুস্তাফিজকে নিয়ে ক্রিস্টিয়ান বলেন, ‘ওর বল সামলানো অসম্ভবের কাছাকাছি। এটা অনেকটা গতিময় রশিদ খানকে খেলার মতো।’
ক্রিস্টিয়ান আরো বলেন, ‘এই ম্যাচের (চতুর্থ) আগে আমরা তাকে খেলার নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছি। তাকে সামনের পায়ে খেলব নাকি পেছনের পায়ে, অফ সাইডে খেলব নাকি লেগ সাইডে। তার বলে এত কিছু হয়, পিচেও বল উঠা-নামা করে। তার বল কেমন হবে, বোঝার উপায় নেই। সামনের পায়ে তাকে খেলা সত্যিই কঠিন, কারণ কোনো বল টার্ন করবে, কোনোটি বাউন্স। আমরা কোনো সমাধান বের করতে পারিনি। কারণ এই ম্যাচেও সে ওভারপ্রতি মাত্র ২ রান করে দিয়েছে। সত্যিই দুর্দান্ত বোলিং, কন্ডিশনটাকে নিজের পক্ষে দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছে সে।’
ক্রিস্টিয়ান আরও বলেন, ‘ওভারপ্রতি ৬ করে করতে পারলেই এখানে জয়ের মতো স্কোর। সেখানে যখন (শুক্রবার) উইকেটে গেলাম, পুরওনো বলে ওভারপ্রতি ১২ করে লাগত। পাঁচ জন ফিল্ডার ছিল সীমানায়, মাঠও বড়। আর মুস্তাফিজকে খেলা ছিল খুবই কঠিন। এই কন্ডিশনে এই ধরনের বোলিং খেলার চেয়ে কঠিন কিছু বিশ্বের কোথাও কোনো পর্যায়ে হয় না।’