মুস্তাফিজ-শরিফুলদের দাপটে ১২১ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়া
আগের ম্যাচে আগে বোলিং নিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই এই ম্যাচে টস জিতে দেরি না করেই অসি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড ব্যাটিংয়ে নামার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আগে ব্যাট করেও তেমন সুফল পায়নি সফরকারীরা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অসি ব্যাটসম্যানদের পাখা মেলতে দেননি শরিফুল-মুস্তাফিজরা। কাটার মাস্টার একাই নেন তিন উইকেট। ফলে বাংলাদেশি বোলারদের সামনে অল্পতেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই ১২২ রান।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন মিচেল মার্শ।
ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করে অসিরা। এই ম্যাচেও মেহেদী হাসানকে দিয়ে বোলিং ওপেন করান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। গত ম্যাচে প্রথম বলের মতো উইকেট এনে না দিতে পারলেও প্রথম ওভারে মেহেদী দেন মাত্র এক রান। দ্বিতীয় ওভারে আসেন নাসুম আহমেদ। তাঁকে অবশ্য মেরে খেলেন অসি ব্যাটসম্যানরা। দুই বাউন্ডার মারেন অ্যালেক্স ক্যারি। নাসুমের ওই ওভারে অসিরা নেয় ১০ রান।
এরপরই তৃতীয় ওভারে বোলিং এসে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মেহেদী। ফিরিয়ে দেন ক্যারিকে। তরুণ এই স্পিনারের অফ স্টাস্পের বাইরে ফুল লেংথ বল লেগে টেনে খেলতে চেয়েছিলেন কেয়ারি। কিন্তু ঠিক মতো পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে মিড অনে ক্যাচ ওঠে যায়। সেখান থাকা নাসুম মুঠোয় জমান ক্যারির ক্যাচ। ১১ বলে ১১ রান করে ফেরেন ক্যারি।
ক্যারির ফেরার পর ষষ্ঠ ওভারে আরেক ওপেনার জশ ফিলিপিকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ফিলিপিকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসারের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারি সরে গিয়ে লেগে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। টাইমিং ঠিক হয়নি। বল ফাঁকি দিয়ে চলে যায় স্টাম্পে। এক চারে ১৪ বলে ১০ রান করেন ফিলিপি।
পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া বেশি রান তুলতে পারেনি। পাওয়ার প্লেতে ছয় ওভারে ৩২ রান করে অতিথিরা। এর মধ্যে ২০ বলই হয় ডট।
দুই উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়াকে টেনেছেন মিচেল মার্শ ও হেনরিকস। ওই উইকেটে অনেকটা খোলস থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে অসিরা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মিচেল মার্শ ও হেনরিকস। দুজন মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। অবশেষে ১৫তম ওভারে হেনরিকসকে ফিরিয়ে শক্ত জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। ৩০ রানে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হেনরিকস।
হেনরিকস ফেরার পর টিকলেন না মার্শ। ১৬.১ ওভারে মার্শকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে ড্যাং শরিফুল ইসলাম। ৪২ বলে ৪৫ রানে ফিরেন যান মার্শ।
এরপর শেষের দিকে চমক দেখান মুস্তাফিজ। অসি অধিনায়ক ও অ্যাশটন অ্যাগারকে তুলে নেন তিনি। মুস্তাফিজ-শরিফুলের দারুণ বোলিংয়ে ৮ রানের মাথায় চারটি উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১২২ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া।
বল হাতে আগের ম্যাচের নাসুম এবার সফল হতে পারেননি। ২৯ রান দিয়ে উইকেটহীন ছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। ২৩ রানে তিনটি নিয়েছেন তিনি। দুটি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। একটি করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া : ২০ ওভারে ১২১/৭ ( ফিলিপি ১০, ক্যারি ১১, মার্শ ৪৫, ম্যাথু ওয়েড ৪, হেনরিকেস ৪০, মিচেল স্টার্ক ১৩, অ্যাশটন টার্নার ৩, অ্যান্ড্রু টাই ৩; সাকিব ৪-০-২২-১, মেহেদী ৩-০-১২-১, নাসুম ৪-০-২৯-০, শরিফুল ৪-০-২৭-২, মুস্তাফিজ ৪-০-২৩-৩)।