শেষের নাটকীয়তায় সেমিফাইনালে পিএসজি
ম্যাচের সময় শেষের দিকে। ছিটকে পড়ার পথে প্যারিসের ক্লাব পিএসজি। এগিয়ে থাকায় জয়ের উল্লাসে ভাসছিল আতালান্তার সমর্থকরা। এমন মুহূর্তে ঘটে গেল অঘটন। তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে নাটকীয়ভাবে জিতে গেল পিএসজি। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠল টমাস তুখেলের দল। শেষের নাটকীয়তায় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল আতালান্তা।
গতকাল বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আতালান্তাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। দলের হয়ে গোল করলেন মার্কিনিয়োস ও মাক্সিম চুপো-মোটিং।
ইউরোপসেরা লিগে এবারই প্রথম এক লেগের ম্যাচ দিয়ে শেষ আটের লড়াইয়ের নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। সেই হিসেবে জয় দিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে উঠেছে পিএসজি। শেষ ১৯৯৫ সালে প্রথম সেমিফাইনালে উঠেছিল ফরাসী ক্লাবটি।
গতকাল ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় পিএসজি। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের পাস কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান নেইমার। কিন্তু ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিলে সেই যাত্রায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারায় পিএসজি।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে এগিয়ে যায় আতালান্তা। সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জাল খুঁজে নেন মারিও পাসালিচ। এরপরই নিজেদের রক্ষণ আগলে খেলতে থাকে আতালান্তা। বারবার চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে পারেনি পিএসজি।
ধীরে ধীরে জয়ের কাছে এগিয়ে যায় আতালান্তা। কিন্তু ম্যাচের নির্ধারিত সময় যখন শেষের দিকে তখনই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। তিন মিনিটেই শেষ হয়ে যায় আতালান্তার স্বপ্ন। ৯০ মিনিটে ডান দিক থেকে ডি-বক্সে সতীর্থের ক্রসে শট নিতে পারেননি নেইমার। বল প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে গোল মুখে চলে যায়। সেখানেই ছিলেন মার্কিনিয়োস। প্রথম টোকায় বল ঠিকানায় পাঠিয়ে দলকে সমতায় ফেরান তিনি।
এরপর যোগ করা সময়ে পরের গোলটি করে আতালান্তার স্বপ্ন ভেঙে দেন চুপো-মোটিং। নেইমারের পাস পেয়ে ডি-বক্সে বল বাড়ান এমবাপ্পে। সেখান থেকে বল জালে পাঠান চুপো-মোটিং। এতে জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়ে প্যারিসের ক্লাবটি। নিশ্চিত হয় ইউরোপসেরা প্রতিযোগিতার শেষ চারের টিকেট।