‘সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব মুশফিকের’

ভারতের মাটিতে দারুণ জয়, গড়ল ইতিহাস। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ সাফল্যে এই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দলের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানকে কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘শুরুটা অনেক কঠিন ছিল এমন উইকেটে খেলা। আল আমিন, বিপ্লব, মুস্তাফিজ ভালো বল করেছে। তাই প্রতিপক্ষকে এই রানে আটকে ফেলা সহজ হয়েছে।’
মুশফিকের প্রশংসা করে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে রান তোলা কঠিন ছিল, তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি। সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব মুশফিকের। সৌম্য ও নাঈম ভালো ব্যাট করেছে।’
ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগের দারুণ দৃঢ়তায় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো ভারতকে সাত উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে এই সংস্করণে গত আটবারের দেখায় ভারতের বিপক্ষে কখনো জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচল। এই জয়ের সুবাদে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
অবশ্য ভারতের দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই হারায় ওপেনার লিটন দাসসকে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকারের দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মিলে গড়েন ৪৬ রানের জুটি।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে নাঈম-সৌম্যের ছন্দ থামান চাহাল। শেখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে দিলেন নাঈমকে। ফেরার আগে ২৬ বলে ২৮ রান করেন অভিষিক্ত নাঈম।
নাঈমের পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সৌম্য। দুজন মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন। তবে স্লো উইকেটে রানের গতি বাড়াতে হিমিসিম খেতে হয়েছে সফরকারীদের। রানের গতি বাড়াতে থাকা সৌম্য ফিরেছেন ৩৯ রানে। শেষের দিকে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৪৩ বলে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মুশফিক। ১৫ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
এর আগে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতকে ১৪৮ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ।