সাকিব-তামিমকে উৎসর্গ এই জয়

ভারতের মাটিতে দারুণ জয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। এমন সাফল্যের দিনে দলের সঙ্গে নেই সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার নিষিদ্ধ, আর তামিম পারিবারিক কারণে ভারত সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম নায়ক সৌম্য সরকার এই জয়টি উৎসর্গ করেছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে।
ম্যাচ শেষে সৌম্য বলেন, ‘সাকিব ও তামিম আমাদের দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। দলে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। এ জয় তাদের উদ্দেশে উৎসর্গ করছি।’
আর দলের জয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম ধৈর্য ধরলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব, তাই সবাই শান্ত ছিলাম।’
ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগের দারুণ দৃঢ়তায় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো ভারতকে সাত উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে এই সংস্করণে গত আটবারের দেখায় ভারতের বিপক্ষে কখনো জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচল। এই জয়ের সুবাদে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
অবশ্য ভারতের দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই হারায় ওপেনার লিটন দাসসকে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকারের দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মিলে গড়েন ৪৬ রানের জুটি।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে নাঈম-সৌম্যের ছন্দ থামান চাহাল। শেখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে দিলেন নাঈমকে। ফেরার আগে ২৬ বলে ২৮ রান করেন অভিষিক্ত নাঈম।
নাঈমের পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সৌম্য। দুজন মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন। তবে স্লো উইকেটে রানের গতি বাড়াতে হিমিসিম খেতে হয়েছে সফরকারীদের। রানের গতি বাড়াতে থাকা সৌম্য ফিরেছেন ৩৯ রানে। শেষের দিকে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৪৩ বলে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মুশফিক। ১৫ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
এরআগে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতকে ১৪৮ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ।