ভেনাস-সেরেনা লড়াইয়ের সম্ভাবনা শেষ

সাত বছর পর কোনো গ্র্যান্ডস্লামে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন দুই বোন। কিন্তু টেনিসপ্রেমীদের হতাশ করে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছেন বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামস। সেরেনা অবশ্য সহজেই জিতে পৌঁছে গেছেন সেমিফাইনালে।
বুধবার শেষ আটের লড়াইয়ে ভেনাস হেরে গেছেন তাঁরই স্বদেশী যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন কিজের কাছে। ম্যাচের ফল ৬-৩, ৪-৬, ৬-৪। অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে গতবারের রানারআপ স্লোভাকিয়ার দোমিনিকা চিবুলকোভা পাত্তাই পাননি। শীর্ষ বাছাই সেরেনা জিতেছেন সরাসরি ৬-২, ৬-২ গেমে।
১৯৯৪ সালে ভেনাসের পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার সময় কিজ ছিলেন এক বছরের দুগ্ধপোষ্য শিশু। চার বছর বয়সে টিভিতে ভেনাসের খেলা দেখে টেনিসে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। ছোটবেলা থেকে উইলিয়ামস পরিবারের বড় মেয়েই তাঁর আদর্শ। ১৫ বছর পর সেই ভেনাসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ডস্লামের সেমিফাইনালে উঠতে পেরে আনন্দে আত্মহারা কিজ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘ভেনাসের বিপক্ষে খেলতে পারা নিঃসন্দেহে মধুর অভিজ্ঞতা। এটা অবিশ্বাস্য এক অনুভূতি। সময়টা দারুণ উপভোগ করেছি। পরের ম্যাচও উপভোগ করব আশা করি।’
পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ তো তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বড় বোনকে বিদায় করে দেওয়া কিজের প্রশংসা করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সেরেনা বলেছেন, ‘সে দারুণ খেলছে। তাকে বলেছি, সে ভালো খেলছে বলে আমি খুব খুশি। সে এখন সেমিফাইনালে। আরেকজন আফ্রিকান-আমেরিকান ভালো খেলে সেমিফাইনালে ওঠায় খুব ভালো লাগছে।’
একটা বিষয় নিশ্চিত, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মহিলা এককের ফাইনালে রুশ-মার্কিন ‘যুদ্ধ’ হচ্ছেই। কারণ, অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবেন দুই রুশ মারিয়া শারাপোভা ও একাতেরিনা মাকারোভা।