১০ হাজার রান করা খুব কঠিন : তামিম

হাবিবুল বাশারের রেকর্ড ভেঙে তামিম ইকবাল এখন টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুলের আশা, টেস্টে একদিন তামিম ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ একটা সিরিজ কাটানো এই বাঁহাতি ওপেনার অবশ্য কাজটা খুব কঠিন বলে মনে করছেন। বছরে মাত্র তিন-চারটি টেস্ট খেলে এত রান করা অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে তাঁর।
urgentPhoto
শনিবার ফতুল্লা টেস্টের চতুর্থ দিনে ১৯ রানের ইনিংস খেলার পথে হাবিবুলকে ছাড়িয়ে গেছেন তামিম। হাবিবুলের তিন হাজার ২৬ রানকে ছাড়িয়ে তাঁর সংগ্রহ এখন তিন হাজার ৩৯ রান। শুধু সর্বোচ্চ রান নয়, টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস (২০৬) এবং সবচেয়ে বেশি শতকও (সাতটি) তামিমের অধিকারে।
এত সব অর্জনে দারুণ খুশি তামিম। তবে টেস্টে ১০ হাজার রান করা ভীষণ কঠিন বলে মনে করছেন এই বাঁহাতি ওপেনার, ‘বছরে আমরা গড়ে মাত্র তিন-চারটি টেস্ট খেলে থাকি। এত কম টেস্ট খেলে একজন ব্যাটসম্যানের পক্ষে ১০ হাজার রান করা প্রায় অসম্ভব। শুধু আমি নই, এই সময়ের কারো পক্ষেই এত কম খেলে ১০ হাজার রান করা সম্ভব নয়। বছরে গড়ে ৮-১০টি টেস্ট খেলতে পারলে হয়তো এই মাইলফলকে পৌঁছানো সম্ভব।’
এই অর্জনের জন্য আরো দুটো বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন তামিম, ‘ফর্ম আর ফিটনেস ভালো থাকা একজন খেলোয়াড়ের জন্য খুবই জরুরি। এ দুটো ঠিক থাকলে আর আরো বেশি টেস্ট খেলতে পারলে একদিন হয়তো কারো ১০ হাজার রান হয়ে যেতেও পারে। তারপরও আমি বলব এটা খুব কঠিন।’
সেসব কথা পরে। আপাতত দেশের ক্রিকেট-ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশারকে পেছনে ফেলতে পেরে উচ্ছ্বসিত তামিম, ‘প্রত্যেকটা অর্জনই ভালো লাগে। এটাও তার বাইরে নয়। তবে আজ বড় একটা ইনিংস খেলতে পারলে আরো ভালো লাগত। অবশ্য এই রেকর্ড বেশি দিন ধরে রাখা সম্ভব না-ও হতে পারে। আমাদের দলের বেশ কয়েকজনের পক্ষেই এই রেকর্ড ভেঙে দেওয়া সম্ভব। বিশেষ করে মুমিনুলের মতো মেধাবী ব্যাটসম্যানের পক্ষে। সে আমাদের দলের একটা বড় সম্পদ।’
তামিমের সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছে মুমিনুল প্রসঙ্গও। সম্ভাবনা জাগিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের টানা ১২ টেস্টে অর্ধশতকের রেকর্ড স্পর্শ করতে পারেননি মুমিনুল। এ প্রসঙ্গে তামিমের বক্তব্য, ‘আমি খুব চেয়েছিলাম মুমিনুল যেন আরেকটি অর্ধশতক করে। দুর্ভাগ্য সে পারেনি। এটা আমাদের জন্যই অনেক হতাশাজনক ব্যাপার।’
ফতুল্লা টেস্টে বৃষ্টির দাপট চলছেই। চতুর্থ দিনও মধ্যাহ্ন-বিরতির পর খেলা হতে পারেনি। এই ম্যাচে ড্র হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও তামিম এ ব্যাপারে যথেষ্ট সাবধানী, ‘ক্রিকেট খুবই অনিশ্চয়তার খেলা। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না পঞ্চম দিনে কী হবে। কাল দিনের শুরুটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’