এখনো চলছে জেরার্ড-ল্যাম্পার্ড ‘যুদ্ধ’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/08/22/photo-1440234832.jpg)
ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে তাঁরা লড়াই করেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। কিন্তু ক্লাব ফুটবল অঙ্গনে একে-অপরের প্রবল প্রতিপক্ষ ছিলেন স্টিভেন জেরার্ড ও ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। লিভারপুল ও চেলসির সাবেক এই দুই খেলোয়াড় রীতিমতো যুদ্ধই করেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। এখন আর কেউই ইংল্যান্ডে না থাকলেও ‘যুদ্ধ’ শেষ হয়ে যায়নি। দুজনেই আবার নতুনভাবে লড়াই শুরু করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল লিগে। রবিবার একে অপরের মুখোমুখি হওয়ার আগে জেরার্ড, ল্যাম্পার্ডকে বলেছেন- ‘এটা যুদ্ধই।’
১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত লিভারপুলের জার্সি গায়ে মাঠ মাতিয়েছিলেন জেরার্ড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুম শেষে পাড়ি জমিয়েছিলেন লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সিতে। আর ল্যাম্পার্ড ছিলেন চেলসির বিশ্বস্ত সৈনিক। চেলসির জার্সি গায়ে খেলেছেন ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। তারপর ম্যানচেস্টার সিটি হয়ে এসেছেন নিউ ইয়র্ক সিটিতে। রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল লিগ, মেজর লিগ সকারে মুখোমুখি হবে জেরার্ড ও ল্যাম্পার্ডের দল লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সি ও নিউ ইয়র্ক সিটি। কেউই যে কাউকে ছেড়ে কথা বলবেন না সেটা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন জেরার্ড। বলেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে অনেক দিন খেলেছি। কিন্তু আমাদের দ্বৈরথটাও সত্যি। যখন মাঠে খেলা শুরুর বাঁশি বাজে, তখন থেকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত আমরা একে অপরের প্রতিপক্ষ। এটা যুদ্ধ। আমরা একে অপরের বিপক্ষে লড়াই করি। সবসময়ই করেছি।’
প্রায় কাছাকছি সময়েই ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে খেলা শুরু করেছিলেন জেরার্ড ও ল্যাম্পার্ড। জেরার্ড খেলেছেন ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। আর মাত্র এক বছর আগে, ১৯৯৯ সাল থেকে খেলা শুরু করেছিলেন ল্যাম্পার্ড। দুজনেই ছিলেন ইংলিশ মাঝমাঠের লড়াকু সৈনিক। ক্লাব ফুটবলে বরাবর একে অপরের বিপক্ষে খেলে গেলেও তাঁদের মধ্যে যে দারুণ বন্ধুত্ব আছে, সেটাও সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন জেরার্ড। বলেছেন, ‘ফ্রাঙ্ক (ল্যাম্পার্ড) শুরু থেকেই খেলুক বা পরেই মাঠে নামুক; মাঠে আমরা সবসময়ই একে অপরের শত্রু। কিন্তু খেলা শেষ হয়ে গেলে আমরা আবার বন্ধু হয়ে যাই। খেলোয়াড় হিসেবে তাঁকে আমি খুবই সম্মান ও শ্রদ্ধা করি।’