সাকিব শুরু করছেন নতুন যাত্রা
শেষ সাত বছর ধরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগটা (আইপিএল) সাকিব আল হাসান মাতিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বেগুনি জার্সিটা পরে। এবার আইপিএলের মঞ্চে অষ্টমবারের মতো যখন পা রাখছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, বদলে গেছে তাঁর দল। বেগুনি রং পাল্টে এবার সাকিব অপেক্ষায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কমলা জার্সিতে মাঠে নামার।
২০১১ সালে প্রথমবার আইপিএলে অংশ নিয়েছিলেন সাকিব। সেই থেকে টানা সাত বছর খেলেছেন কলকাতার হয়ে। শাহরুখের দলের হয়ে শিরোপাও জিতেছেন দুবার। তবে শেষ আইপিএলে মাত্র এক ম্যাচে সাকিবকে মাঠে নামিয়েছিল কেকেআর। আর তাতেই পরের আইপিএলে যে এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার নামছেন না ইডেন গার্ডেনের ঘরের ছেলে, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল অনেকটাই।
হয়েছেও তাই, সাকিবকে আর ধরে রাখেনি কলকাতা। আর সেই সুযোগেই নিলাম থেকে সরাসরি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে দলে ভেড়ায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সাকিবকে পেতে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির গুনতে হয়েছে দুই কোটি রুপি। ১১তম আসরে তাই ইডেন গার্ডেন থেকে সাকিবের আইপিএলের ঘরের মাঠ হয়ে গেল রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আগামীকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হবেন সাকিব।
সব মিলিয়ে আইপিএলে ৪৩ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন সাকিব। ১৩০.৩৬ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন ৪৯৮। রয়েছে দুই অর্ধশতক, সর্বোচ্চ ৬৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন গুজরাট লায়নসের বিপক্ষে।
বল হাতে ৪৩ ম্যাচে ঠিক ৪৩ উইকেটই নিয়েছেন সাকিব। উইকেটপ্রতি রান দিয়েছেন ২৫.৬০ গড়ে। সেরা বোলিং ১৭ রান দিয়ে তিন উইকেট। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ইকোনমিও বেশ ভদ্রস্থ, ৭.১৭।
ভাষা আর সংস্কৃতিতে মিল থাকায় কলকাতার ঘরের ছেলে হতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি সাকিবের। এবার তাই হায়দরাবাদের মানুষের কাছে প্রিয় ক্রিকেটার হয়ে ওঠাটা সাকিবের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে অবশ্য সানরাইজার্স দর্শকরা ইতিবাচক সব মন্তব্যে সাকিবকে বরণ করে নিয়েছে নিজেদের দলে।