হিথ স্ট্রিকের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ

বাংলাদেশের বোলিং সাইডটাকে বেশ ভালোভাবেই সামলাচ্ছিলেন হিথ স্ট্রিক। তবে জিম্বাবুয়ের প্রধান কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়ে নিজের দেশেই উড়াল দেন এই কোচ। তবে দুর্ভাগ্য, নিজের দেশকে বিশ্বকাপের মঞ্চে পৌঁছে দিতে পারেননি তিনি। বাছাইপর্বে হেরে জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। এরপরই তিনি শুনলেন চাকরি হারানোর খবর।
দলের খারাপ পারফরম্যান্স তো আছেই। নতুন করে স্ট্রিককে শুনতে হলো আরেকটি অভিযোগ। দলে তিনি নাকি বর্ণবাদী আচরণ করেছেন। নিজে সাদা চামড়া হওয়ায় কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের প্রতি অবিচারের অভিযোগ উঠেছে সাবেক এই ক্রিকেটারের দিকে।
জিম্বাবুয়ে চেফাস ঝুয়াওকে জানালেন, তিনি খেলছেন না। স্ট্রিক ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান তাভেঙ্গা মুকুহলানি বলেন, ‘স্ট্রিক ছিলেন দলের প্রধান কোচ ও নির্বাচক। তিনি তাঁর পছন্দমতো দল সাজাতে পারতেন। তিনি যেভাবে দল সাজিয়েছেন, সেটা কি ঠিক ছিল? আরব আমিরাতের বিপক্ষে সাদা চামড়ার পিটার মুর দলে ছিলেন, কিন্তু দলের কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়রা সেটা জানতেন না। অনুশীলনে কেন পুরো দলকে সেটা জানালেন না?’
বোর্ড চেয়ারম্যানের এ অভিযোগে বেশ অবাকই হয়েছেন জিম্বাবুয়ের এই কোচ। তিনি বলেন, ‘আমার প্রতি বর্ণবাদের অভিযোগ অমূলক ও হাস্যকর। আমাকে যাঁরা চেনেন, তাঁদের কাছেও এ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করা আমার মনের বাইরে। আমি শুধু একটা ব্যাপার নজরে আনতে চাই। আমার নির্বাচন প্যানেলে টটেন্ডা টাইবু ও ডগলাস হন্ডোও আছেন। আমি আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিই।’
স্ট্রিক আরো বলেন, ‘বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কালো খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে সাদা চামড়ার খেলোয়াড়দের দলে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ অদ্ভুত। আমি যখন কাইল জার্ভিসকে বাদ দিয়ে তেন্ডাই চিসুরুকে দলে নিলাম, তখন কোনো কথা ওঠেনি। কিন্তু যখন চেফাস ঝুয়াওকে বাদ দিয়ে পিটার মুরকে নিলাম, তখন বলা হলো আমি বর্ণবাদী।’