বায়ার্নকে কাঁদিয়ে আবার ফাইনালে রিয়াল
গত মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো এবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি ফাইনালে জ্বলে উঠেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ভাগ্যদেবী এবারও তাদের সহায় হয়নি। বায়ার্নকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পৌঁছে গেছে জিদান শিষ্যরা। ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনালের টিকেট পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
নিজেদের মাঠে প্রথম লেগ ২-১ গোলে হেরে যাওয়ায় ফাইনালে পৌঁছাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোলের দরকার ছিল বায়ার্নের। সেই কাজটিই করেন জোশুয়া কিমিক। তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় জার্মান ক্লাবটি। বক্সের ভেতর থেকে আড়াআড়ি শটে তিনি বল জালে জড়ান। অবশ্য সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি রিয়াল। ম্যাচের ১১ মিনিটেই স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান করিম বেনজেমা। বাঁ প্রান্ত থেকে মার্সেলোর ক্রস হেডের মাধ্যমে জালে জড়ান তিনি।
বেনজেমার গোলের পর বেশ আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে বায়ার্ন। এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে প্রথমবার গোলুমখে শট করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে তাঁকে দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন বায়ার্ন গোলরক্ষক। এর পর পরই বক্সের ভেতর মার্সেলোর হাতে বল লাগলে বায়ার্ন খেলোয়াড়রা পেনাল্টির আবেদন করলেও সাড়া দেননি রেফারি। ফলে ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও বেনজেমার গোল। দ্বিতীয় গোল করে তিনি এগিয়ে নেন স্বাগতিকদের। কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও লড়াই চালানো বাদ দেয়নি বায়ার্ন। গোল হজম করার পরও। সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে তারা। ৬৩ মিনিটে বায়ার্নকে সমতায় ফেরান মাদ্রিদ ক্লাব থেকে ধারে জার্মান ক্লাবের হয়ে খেলতে আসা কলম্বিয়ান তারকা হামেস রদ্রিগেজ। চমৎকার এক গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি।
গত মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো এবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি ফাইনালে জ্বলে উঠেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ভাগ্যদেবী এবারও তাদের সহায় হয়নি। বায়ার্নকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পৌঁছে গেছে জিদান শিষ্যরা। ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনালের টিকেট পেয়েছে রিয়াল ।