কেঁদে-কাঁদিয়ে বিদায় বুফনের
কান্নাটা হতে পারত আনন্দের। খুশির জোয়ারে ভাসতে ভাসতে বিদায় নিতে পারতেন জিয়ানলুইজি বুফন। কিন্তু বিদায়বেলায় কিছুটা যেন আক্ষেপ আর আফসোসই মিশে থাকল ইতালির সর্বকালের অন্যতম সেরা এই গোলরক্ষককে নিয়ে। নিজে কেঁদে, অগণিত ভক্তকে কাঁদিয়ে ফুটবল অঙ্গন থেকে বিদায় নিলেন জুভেন্টাসের এই তারকা।
টানা সপ্তমবারের মতো ইতালিয়ান লিগ শিরোপা জিতে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন বুফন। নিচের সারির দল ভেরোনার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় দিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। শিরোপা জয়ের চেয়েও জুভেন্টাসের সমর্থকদের জন্য ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে বুফনের বিদায়ী ম্যাচ হিসেবে।
১৯৯৫ সালে বুফন পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পারমার জার্সি গায়ে। সেখানে কাটিয়েছিলেন ২০০১ সাল পর্যন্ত। এরপর নাম লেখান জুভেন্টাসে। ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন জুভেন্টাস গোলপোস্টের অতন্দ্র প্রহরী। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর হাতেই ছিল জুভেন্টাসের অধিনায়কের বাহুবন্ধনী। ১৭ বছরের এই বর্ণিল ক্যারিয়ারে জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে তিনি জিতেছেন ১১টি ইতালিয়ান লিগ শিরোপা। ১২ বার হাতে তুলেছেন ইতালিয়ান লিগের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার।
৪০ বছর বয়সী বুফনের সবচেয়ে বড় আফসোস অবশ্য জাতীয় দলকে নিয়ে। বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে না পারায় এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারছে না ইতালি। তাই বিদায়বেলায় বিশ্বকাপটা আর খেলা হচ্ছে না এ সময়ের অন্যতম সেরা এই গোলরক্ষকের। ২০০৬ সালে অবশ্য বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন বুফন। কিন্তু ক্যারিয়ারের সর্বশেষ বিশ্বকাপটা খেলতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই বুটজোড়া তুলে রাখতে হলো ইতালির অধিনায়ককে।