বিশ্বকাপ ২০০৬
জার্মানির মাটিতে শিরোপা জিতল ইতালি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/06/02/photo-1527918099.jpg)
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ক্রীড়াবিশ্বের অন্যতম বড় আসর ফুটবল বিশ্বকাপ। আর মাত্র ১২ দিন পরই পুরো বিশ্ব মেতে উঠতে যাচ্ছে ফুটবলের উন্মাদনায়, যার আঁচটা পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। ফুটবল বিশ্বকাপ সামনে রেখে এনটিভি অনলাইনও নিয়ে এসেছে বিশেষ আয়োজন। আজ পাঠকদের সামনে হাজির করা হচ্ছে ১৮তম বিশ্বকাপের গল্প। ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের ১৮তম আসরের অনেক অজানা কথা নিয়ে থাকছে আজকের প্রতিবেদন :
প্রায় ৩২ বছর অপেক্ষার পর জার্মানিতে সেবার আবারও বসেছিল বিশ্বকাপের আসর, ২০০৬ বিশ্বকাপের কথা বলা হচ্ছে। হিটলারের দেশে আয়োজিত দ্বিতীয় বিশ্বকাপে ইতালি দেখা পায় তাদের চতুর্থ শিরোপার। পুরো আসরে জিনেদিন জিদানের আলোয় আলোকিত হয়েও ফ্রান্সকে শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল রানার্সআপ হয়েই।
২০০৬ বিশ্বকাপের বল ‘টিমগাইস্ট’।
জার্মানির মোট ১২টি শহরের ১২টি মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের ১৮তম আসরের মাসকট ছিল ‘গোলিও’ নামের একটি সিংহ ও ‘পিলে’ নামের একটি কথা বলতে পারা ফুটবল। মোট এক মাস ধরে জার্মানদের মাঠে চলে ৬৪ ম্যাচের লড়াই।
ওশেনিয়া মহাদেশ থেকে একটি, এশিয়া থেকে চারটি, উত্তর আমেরিকা থেকে চারটি, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে পাঁচটি ও ইউরোপ থেকে স্বাগতিক জার্মানিসহ ১৪টি দেশ অংশ নেয় ১৭তম বিশ্বকাপে। আটটি গ্রুপে চারটি করে দল নিয়ে শুরু হয় প্রথম পর্বের লড়াই। সেরা ষোলর লড়াই শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে যায় আট দল।
হালের দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অভিষেক বিশ্বকাপ ছিল এই জার্মান বিশ্বকাপ। মেসির দল কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেলেও রোনালদোরা টিকিট পায় সেমিফাইনালের।
কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই শেষে স্বাগতিক জার্মানি, ইতালি, পর্তুগাল ও ফ্রান্স। সেখান থেকে ইতালি জার্মানিকে ও ফ্রান্স পর্তুগালকে পরাজিত করে টিকিট পায় ফাইনালের। স্বাগতিকরা ৩-১ ব্যবধানে পর্তুগালকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে তৃতীয় অবস্থানে থেকে।
জার্মানি বিশ্বকাপের মাসকট ‘গোলিও ও পিলে’।
বার্লিন শহরের অলিম্পিয়াস্তেদিও স্টেডিয়ামে ফাইনালের লড়াইয়ে নামে ইতালি ও ফ্রান্স। নিজের শেষ বিশ্বকাপের ফাইনালটায় জিদান মাঠ ছেড়েছিলেন লাল কার্ড হজম করেই। ফ্রান্সেরও জেতা হয়নি দ্বিতীয় শিরোপা। ট্রাইবেকারে ৫-৩ গোলে ফাইনাল জিতে ইতালি উঁচিয়ে ধরে তাদের ইতিহাসের চতুর্থ শিরোপা।