গিনেস বুকে মরিনিয়ো-রোনালদো
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/05/photo-1441443685.jpg)
সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না হোসে মরিনিয়োর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচ শেষে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ১৩তম অবস্থানে আছে তাঁর দল চেলসি। এই দুঃসময়ে অবশ্য পর্তুগিজ এই কোচের মুখে কিছুটা হাসি ফুটতে পারে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিতে পেরে। নতুন গিনেস বিশ্বরেকর্ড বইয়ে চার জায়গায় উঠেছে মরিনিয়োর নাম। রেকর্ডবুকে নাম তুলে ফেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও ইংলিশ মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড।
২০০৪ সালে প্রথম দফায় চেলসির কোচের দায়িত্ব নিয়ে দারুণ একটা মৌসুম কাটিয়েছিলেন মরিনিয়ো। ২০০৪-০৫ মৌসুমের জন্যই তাঁর নাম উঠে গেছে গিনেস বিশ্বরেকর্ড বইয়ে। সেবার ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জিতেছিল চেলসি। এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জয়ের রেকর্ড হিসেবে টিকে আছে। সেবার ৩৮ ম্যাচের মধ্যে চেলসি হেরেছিল মাত্র একটিতে। ড্র করেছিল আটটি ম্যাচে। মরিনিয়ো দ্বিতীয় সনদটি পেয়েছেন দুটি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের জন্য। ইউরোপিয়ান ফুটবলে এই কীর্তি করতে পারেননি আর কোনো কোচই। ২০০৩-০৪ মৌসুমে পর্তুগালের ক্লাব পোর্তো ও ২০০৯-১০ মৌসুমে ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছিলেন মরিনিয়ো। সবচেয়ে কমবয়সী কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ১০০ ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করার রেকর্ডও আছে তাঁর দখলে। ৪৯ বছর ১২ দিন বয়সে মরিনিয়ো ছুঁয়েছিলেন এই মাইলফলক। প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে ৭৭টি ম্যাচ অপরাজিত থাকার জন্য গিনেসের পক্ষ থেকে মরিনিয়ো পেয়েছেন চতুর্থ সনদটি।
এই মুহূর্তে স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ অবশ্য চেলসির পরবর্তী ম্যাচের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। গিনেসের কাছ থেকে সনদগুলো গ্রহণের পর নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই সনদগুলো আমি আমার অফিসে ঝুলিয়ে রাখতে পারব। সেটা দেখতে ভালো লাগবে। ছোটবেলায় কেউই ভাবতে পারে না যে তার নাম গিনেস বিশ্বরেকর্ড বইয়ে উঠবে। কিন্তু বিগত ১০ বা ১৫ বছর ধরে আমি কী করেছি সেটা না ভেবে এখন আমি পরবর্তী ম্যাচটা জয়ের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।’
পর্তুগালের আরেক তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও নাম তুলেছেন রেকর্ড বইয়ে। লা লিগায় সবচেয়ে বেশি ২৭টি হ্যাটট্রিক করার সুবাদে রোনালদো পেয়েছেন প্রথম সনদটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অনুসারী বানানোর জন্যও রোনালদোর নাম উঠেছে রেকর্ডবইয়ে। ফেসবুকে রোনালদোর অনুসারী ১০০ মিলিয়নেরও বেশি। আর টুইটারে ২৭ মিলিয়ন।
ইংলিশ তারকা ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে বেশি দলের বিপক্ষে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করে। দীর্ঘ সময় ধরে ওয়েস্ট হ্যাম ও চেলসির জার্সি গায়ে খেলার সময় ল্যাম্পার্ড গোল করেছিলেন ৩৮টি দলের বিপক্ষে। ২০১৪-১৫ মৌসুমে দল বদলে গিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। তখন তিনি একবার বল জড়িয়েছিলেন সাবেক ক্লাব চেলসির বিপক্ষে। ফলে সব মিলিয়ে ৩৯টি ক্লাবের জালে বল জড়ানোর অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলে ফেলেছেন ল্যাম্পার্ড।