৪০ বছর পর বিশ্বকাপে পেরুর জয়
বিশ্বকাপ মানেই অন্য রকম উত্তেজনা। প্রতিটি ম্যাচ ঘিরে থাকে নানা হিসাব-নিকাশ। ফলে খেলোয়াড়দের চাপ নিয়ে খেলতে হয়। গতকাল বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘সি’-এর পেরু-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ ছিল। দুদলই পেয়েছিল চাপমুক্ত খেলার অনন্য সুযোগ। কারণ, এই গ্রুপ থেকে আগেই ফ্রান্স ও ডেনমার্ক তাদের পরবর্তী রাউন্ড নিশ্চিত করেছে। ফলে অস্ট্রেলিয়া ও পেরুকে খেলতে হয়েছে নিয়ম রক্ষার ম্যাচ।
নিয়ম রক্ষার ম্যাচ হলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের উল্লাসে ভেসেছে পেরু। আর এই জয়টা সত্যিই তাদের জন্য ছিল বিশেষ কিছু। কারণ, ১৯৭৮ সালের পর বিশ্বকাপে এই প্রথম দলটি জয়ের মুখ দেখল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটি।
বিশ্বকাপে আসার আগেই বিতর্কিত ছিল পেরুর ফুটবল। কারণ, পেরুর অধিনায়ক পাওলো গুয়েরেরো পেয়েছিলেন ১৪ মাসের নিষেধাজ্ঞা। যার হাত ধরে দেশটির বিশ্বকাপে টিকেট পাওয়া, সেই খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতির ফলে দলটি মুষড়ে পড়ে। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফিরে আসেন তিনি এবং দীর্ঘ খরা কাটিয়ে দলকে জয় পাওয়ার ক্ষেত্রে অবদানও রাখেন।
আন্দ্রে ক্যারিলো ও গুয়েরেরোর গোলে ভেসেছে পুরো স্টেডিয়াম। ৪০ হাজার পেরুবাসী রাশিয়ায় পাড়ি দিয়েছে শুধু পেরুর খেলা দেখার জন্য। তারা খেলার একটি মুহূর্তও মিস করতে চায়নি।
অবশ্য পেরুর এমন সাফল্যে সবচেয়ে বেশি অবদান অস্ট্রেলিয়ারই। তারা আক্রমণ তো দূরে থাক, পেরুর বিপক্ষে প্রতিরোধও গড়তে পারেনি। একসময় আক্রমণ বাদ দিয়ে তারা জড়িয়ে পড়ে অহেতুক ফাউলে। যার ফলস্বরূপ চারটি হলুদ কার্ড খেতে হয় তাদের। অস্ট্রেলিয়ার এমন অগোছালো খেলার সুবিধা নিয়ে ২-০ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিয়েছে পেরু।
এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া খালি হাতে ফিরে গেলেও পেরু তাদের প্রাপ্তির ঝুলিটা কিছুটা হলেও পূর্ণ করতে পেরেছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, তারা ৪০ বছরের খরা কাটিয়ে পেয়েছে জয়ের দেখা।