ম্যারাডোনাকে ফিফার সতর্কবার্তা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/06/30/photo-1530349852.jpg)
ফুটবলের মতো পাগলামিটাও যেন রক্তে মিশে আছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার। বর্ণিল ফুটবল ক্যারিয়ারে মাঠে অসাধারণ শৈল্পিক নৈপুণ্য দেখিয়ে যেভাবে অগণিত মানুষের মন জয় করেছেন, তেমনি চক্ষুশূল হয়েছেন প্রথাগত রীতিনীতির অনুসারীদের। বিতর্ক আর কেলেঙ্কারিও হাত ধরাধরি করে হেঁটেছে তাঁর সাফল্যমণ্ডিত ফুটবল ক্যারিয়ারের সঙ্গে।
জাতীয় দল ছেড়েছেন সেই ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে, তাও বিতর্কিত হয়ে। এবার আবারও সমালোচনার স্বীকার হলেন এই কিংবদন্তি। এবার স্বয়ং ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা সমালোচনা করেছে তাঁর। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ের পর ম্যারাডোনার মধ্যমা আঙ্গুল প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে মূলত ফিফা থেকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
ম্যারাডোনা মানেই যেন তা-ই বিশেষ কিছু। ম্যারাডোনা মানেই উন্মাদনা। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে মেসি-ডি মারিয়াদের দিকে যতটা নজর ছিল, গ্যালারিতে বসে তার চেয়েও হয়তো বেশি সাড়া জাগিয়েছেন ম্যারাডোনা। তাঁর উড়ন্ত-প্রার্থনারত ভঙ্গি, উচ্ছ্বাস, হতাশা থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল যে, কতটা প্রাণ দিয়ে তিনি ভালোবাসেন এই আকাশি-সাদা জার্সিধারীদের। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলের ব্যবধানে জয়ের পর আনন্দে খানিকটা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ম্যারাডোনা। উদযাপন করতে গিয়ে মধ্যমা আঙ্গুল প্রদর্শন করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়েছে ফিফা। সর্বোচ্চ সংস্থাটি থেকে বলা হয়েছে ম্যারাডোনার মতো কিংবদন্তি কিংবা যারা ফুটবলের সাথে জড়িত, তাঁদের আরো বেশি সংযত ও শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
ফিফা বিশ্বকাপের প্রধান নির্বাহী কলিন স্মিথ বলেন, ‘যারা ফুটবলের ইতিহাস লিখতে সাহায্য করেছে, তারাও খেলার অংশ। দিয়েগো ম্যারাডোনা অবশ্যই সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আমরা চাই বর্তমান খেলোয়াড়, সাবেক তারকা, স্টাফ ও সমর্থক সবাই ভদ্রতা বজায় রাখবে।’