স্বাগতিকদের বিপক্ষে কী হয় স্পেনের?
এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষে ২০১০ সালের বিশ্বকাপজয়ী স্পেনের জন্য প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হয়েছিল স্বাগতিক রাশিয়া। অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী রাশিয়ার বিপক্ষে স্পেনই ছিল ফেভারিট। কিন্তু স্বাগতিকদের সঙ্গে খেলা মানেই স্পেনের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তা। কারণ, এর আগে যতবারই স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে স্পেন, ততবারই পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। গতকালও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। রাশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে স্পেন।
এবারের বিশ্বকাপের আসরে অন্যতম ফেভারিট ছিল স্পেন। বেশ কঠিন গ্রুপ থেকেও তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজেদের নামের সুবিচার করে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তারা হেরে যায় স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে। এবারই প্রথম নয়, এর আগে স্বাগতিক ইতালি, ব্রাজিল ও কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেও হেরে যায় তারা।
১৯৩৪ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক ইতালির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় স্পেন। সেবার ইতালির বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচটি। অবশ্য ইতালিই সেই আসরে শেষ হাসি হাসার সুযোগ লাভ করে। চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি নিজেদের দেশেই রেখে দেয়।
১৯৫০ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে স্বাগতিক ব্রাজিলের মুখোমুখি হয় স্পেন। স্পেনকে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে সেলেসাওরা। অবশ্য টুর্নামেন্টে শেষ পর্যন্ত চতুর্থ হয়ে আসর শেষ করতে সমর্থ হয় স্পেন।
২০০২ সালের জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক কোরিয়া ও স্পেন। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে কোনো পক্ষ গোল করতে না পারলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। কোরিয়ার কাছে ৫-৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয় স্পেন।
২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে গতকাল রাতে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে নকআউট পর্বের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল স্পেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো গোল না হলে খেলা টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। যেখানে ৪-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় স্পেন।