মেসির মতো এমবাপে-গ্রিজম্যানকে থামাতে চান দালিচ
বিশ্বকাপে আসার আগে কে ভেবেছিল, এই ক্রোয়েশিয়া পৌঁছে যাবে ফাইনাল লড়াইয়ের মঞ্চে! সব বাধা পেরিয়ে এবার রাকিটিচ-মদ্রিচরা জায়গা করে নিয়েছেন ফাইনালের আসরে। তবে ফাইনাল পর্যন্ত আসার পথ মসৃণ ছিল না। বিশ্বের সেরা সব খেলোয়াড়দের টপকে ক্রোয়েশিয়াকে পৌঁছাতে হয়েছে ফাইনালের মঞ্চে। বিশ্বের সেরা তারকা লিওনেল মেসি ও টুর্নামেন্টের এখন পর্যন্ত সেরা গোলদাতা হ্যারি কেনকে যেভাবে আটকে রেখেছিল ক্রোয়েশিয়া, কোচ জ্লাতকো দালিচ প্রত্যাশা করেন ফাইনাল ম্যাচেও ফ্রান্স দলের অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান ও কিলিয়ান এমবাপেকে আটকে রেখে শিরোপা দখল করবে ক্রোয়েশিয়া।
১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে এসেই চমক দেখিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। উঠেছিল সেমিফাইনালে। এরপর টানা চারটি বিশ্বকাপে হতাশ করেছে তারা। তিনবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে, আর একবার তো মূল পর্বে খেলার সুযোগই পায়নি। দীর্ঘদিন পর আবার তারা বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছে সোনালি প্রজন্ম নিয়ে। গ্রুপ পর্বে তার প্রমাণও দিয়েছিল আর্জেন্টিনার মতো দলকে তিন গোলে হারিয়ে। সব বাধা পেরিয়ে এবার রাকিটিচ-মদ্রিচরা জায়গা করে নিয়েছেন ফাইনালের আসরে। কোচ প্রত্যাশা করেন ছেলেরা এবার শিরোপা জয় করেই ঘরে ফিরবে।
গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে পাত্তাই দেয়নি ক্রোয়েশিয়া। দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে আটকে রেখে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছিল তাঁরা। অন্যদিকে, সেমিফাইনালের মঞ্চে ইংল্যান্ডের সেরা তারকা হ্যারি কেনকে আটকে রেখে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েটরা। একই কাজের পুনরাবৃত্তি করতে চান কোচ দালিচ।
৫১ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘ফ্রান্স খুবই শক্তিশালী, প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কেরও বটে! কিন্তু আমরা যথেষ্ট ভালো খেলছি। আমরা যেভাবে মেসি, হ্যারি কেনকে থামিয়েছি, আশা করছি গ্রিজম্যান, এমবাপেকেও থামাতে পারব।’