দ্রাবিড়কে ব্যাটিং পরামর্শক না করার খেসারত দিচ্ছে ভারত
ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ভারতের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সঙ্গে প্রস্তাব উঠেছে অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফদের নিয়েও। শাস্ত্রী যখন প্রায়ই ভারতের অন্যান্য দলকে হারিয়ে উঠে আসার কথা বলেন, তখনই ভারত প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২-১ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে। মজার ব্যাপার হলো, শাস্ত্রীকে প্রধান কোচ করার সময় শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী এবং ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়ে গঠিত ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি দেশের বাইরের ম্যাচগুলোর জন্য ব্যাটিং কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড় এবং জহির খানকে বোলিং কোচ হিসেবে ঘোষণা করেন। কিন্তু পরে সঞ্জয় বাঙ্গার এবং ভারত অরুণকে যথাক্রমে ব্যাটিং ও বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ইন্ডিয়া টিভির এক অনুষ্ঠানে সৌরভ জানিয়েছেন, তিনি নাকি দ্রাবিড়কে বাদ দেওয়ার ব্যাপারটি জানতেনই না! তাঁর মতে, ‘রাহুল দ্রাবিড়কে ব্যাটিং কোচ করা হয়েছিল এবং তিনি রাজি ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি (দ্রাবিড়) রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেন এবং পরে কী হয়েছে আমি জানি না। নির্বাহী কমিটি কোচ নিয়ে মাথা ঘামানোয় আমরা কোচ সংক্রান্ত দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। তাই দ্রাবিড় কেন ব্যাটিং কোচ হলেন না, তা আমার জন্য বলা কঠিন। তবে বিরাট কোহলির সঙ্গে আলাপ করে রবি শাস্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়ার পর তাঁর (রবি শাস্ত্রী) দলের উন্নয়ন এবং দায়িত্ব পালন করা উচিত ছিল।’
নির্বাহী কমিটির প্রধান বিনোদ রায় অবশ্য পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, দ্রাবিড়কে ব্যাটিং কোচ এবং জহিরকে বোলিং কোচ নির্ধারণের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির দায়িত্ব ছিল প্রধান কোচ ঠিক করা। তিনি বলেন, ‘অনিল কুম্বলের এক বছরের চুক্তি ছিল। নবায়ন বা চুক্তি বৃদ্ধিসংক্রান্ত কোনো বিষয় চুক্তিতে ছিল না। নির্বাহী কমিটির নজরে এসেছে, এক মাস পর চুক্তি শেষ হবে এবং নিয়োগের প্রক্রিয়া আমরা অনুসরণ করেছি। শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী এবং ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির দায়িত্ব ছিল প্রধান কোচ ঠিক করা।’
এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, ‘উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রতি আমাদের বিশ্বাস রয়েছে এবং তাঁদের যেটি সবচেয়ে ভালো মনে হয়েছে, তারা সেটিই করেছেন। তাঁকে (অনিল কুম্বলে) এক বছর মেয়াদের পূর্বেই হঠাৎ করে বাদ দেওয়া হয়নি। আমরা জহির খান কিংবা রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়োগের ব্যাপারে কোনো কথা বলিনি। আমাদের কাজ ছিল নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রধান কোচ নির্ধারণ করা।’
ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটি কাজটি হয়ত ঠিকমতই করতে পেরেছেন। কিন্তু ফলাফল ভারত ক্রিকেট দলের অনুকূলে আসবে কি না, সেটিই এখন ভাবার বিষয়।