কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে তামিমকে?

এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩৭ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের ফলাফলে খুশি টাইগাররা। তবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তামিম ইকবালের জন্য শেষ হয়ে গেছে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তামিমকে আহত অবস্থায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয়। সুরাঙ্গা লাকমালের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে কব্জিতে চিঁড় ধরে তামিমের। মেডিকেল টেস্টের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছিল কতদিন মাঠের বাইরে থাকবেন তামিম। আজ সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক এবং জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন নিশ্চিত করেছেন, কমপক্ষে আগামী চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তামিমকে।
প্রথমবার চোট পেয়েই মাঠের বাইরে চলে যান তামিম। যখন স্লিংয়ে হাত ঝোলানো অবস্থায় স্ক্রিনে তামিমকে দেখা গেল, ততক্ষণে কোনো কোনো গণমাধ্যমে তামিমের এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার কথা প্রচারিত হয়ে গেছে। তবে সবকিছু মিথ্যা করে দিয়ে ভাঙা হাত নিয়ে মাঠে নেমে যান তিনি। ৪৭তম ওভারের শেষ বল মোকাবিলা করেন এক হাতেই। এই অনুপ্রেরণায় মুশফিক দলের স্কোরকার্ডে আরো ৩২ রান যোগ করেন। পরে দুর্দান্ত বোলিং করে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১২৪ রানে অল আউট করে টাইগাররা। তবে হাতের চোট বেশ ভালোই ভোগাবে তামিমকে। তিনিও বুঝতে পেরেছিলেন, এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেছে তাঁর। তাই এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরেকজন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তামিম। তাঁর কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরই দলীয় ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন বাংলাদেশি মিডিয়াকে জানিয়েছেন, কমপক্ষে চার সপ্তাহ মাঠে থাকছেন না এই ড্যাশিং ওপেনার।
আশার কথা হলো, হাতের চিঁড় অস্ত্রোপচার করার মতো গুরুতর নয়। তবুও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিসিবি। তামিমের হাতের রিপোর্ট পাঠানো হবে অস্ট্রেলিয়ায়, বিশেষজ্ঞের কাছে। সেখান থেকে পর্যালোচনা রিপোর্ট আসার পরই তামিমের হাতের চিকিৎসার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। আগামীকাল মঙ্গলবার দুবাই থেকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তামিমের।
হতাশ হয়ে দেশে ফিরলেও সম্পূর্ণ বাংলাদেশ দলকে উজ্জীবিত করেছেন এই ক্রিকেটার। দেশের জন্য নিজেকে কতখানি উজাড় করে খেলা যায়, তার চাক্ষুষ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। তরুণ ক্রিকেটাররা তামিমের অভাব পূরণে নিজেদের কতটা উজাড় করে খেলেন, এখন সেটিই দেখার বিষয়।