যেন বুক চিতিয়ে লড়েছেন মাশরাফি-মুশফিকরা
প্রতিপক্ষ দলটি যখন পাকিস্তান, তাদের বিপক্ষে বরাবরই অন্য রকম উদ্দীপনা খুঁজে পায় বাংলাদেশ। সেই ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে এই পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে সাফল্যের সূচনা হয়েছিল বাংলাদেশের। এরপর ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে তাদের বিপক্ষে দারুণ সাফল্য ঘরে তুলেছিলেন মাশরাফি-সাকিবরা। চলমান এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে যখন আবার মুখোমুখি হয় দুই দল, তখন সাফল্যে আশাবাদী হয়ে ওঠে সবাই—শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সম্ভব হতে পারে জয় পাওয়া। শেষ পর্যন্ত অসাধারণ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ, যাতে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে পুরো দল।
প্রথমে আসা যাক মুশফিকুর রহিমের কথা, মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান দলের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে যেভাবে হাল ধরেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ ছিল। পাঁজরের চোট নিয়েও ৯৯ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছেন। বলা যায়, দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল তাঁরই। অবশ্য তাঁর মহাকাব্যিক ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে নার্ভাস নাইন্টি নাইনে।
এর পরই বলা যেতে পারে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের কথা। চার উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের কোমরটা ভেঙে দিয়েছেন কাটার-মাস্টার। প্রথমে বাবর আজমকে সাজঘরে ফেরান, কিছুক্ষণ পর সরফরাজ নেওয়াজ তাঁর শিকার হন। এর পর শেষ দিকে আবার ফেরান মোহাম্মদ নওয়াজ ও হাসান আলিকে।
আর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা না বললেই নয়, ব্যাট বা বল হাতে বড় কোনো সাফল্য পাননি নড়াইল এক্সপ্রেস। তবে নেতৃত্বের প্রশংসা না করলেই নয়। মাঠে যেভাবে পুরো দলকে উজ্জীবিত করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। আর ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাতে ব্যথা পেয়েও ব্যান্ডেজ নিয়ে আবার মাঠে ফিরে পুরো দলকে নিয়ে বুক চিতিয়ে লড়েছেন। তাঁদের চেষ্টারই ফল এই সাফল্য।
মোহাম্মদ মিঠুনও কম যাননি। দলের ২৩৯ রানের ইনিংসে তাঁর অবদান কম নয়। ৬০ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিতে অন্যতম অবদান ছিল তাঁর।
এর পর মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও রুবেল হোসেন সবারই কমবেশি অবদান ছিল দলের এই জয়ে। তাই এশিয়া কাপে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে কেমন করে, সেটাই এখন দেখার।