যেখানে আলাদা আরিফুল
প্রথম থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের ঘোষিত প্রথম টেস্টের দল নিয়ে। দলে মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ পেস বোলার, সেটিও অভিষিক্ত আবু জায়েদ রাহি। তবে দলে অভিষিক্ত আরেকজন অলরাউন্ডার আরিফুল হক নিজেকে চিনিয়েছেন ব্যাট হাতে। সবার যাওয়া-আসার ভিড়ে তিনিই ছিলেন ব্যতিক্রম।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটিং ইনিংসে আরিফুল সাত নম্বরে নেমেছিলেন। তখন ক্রিজে নেই কোনো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান। তবুও রানের ব্যবধান কমাতে চেষ্টা করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কোনো উপযুক্ত সঙ্গী না পাওয়ায় ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। তিনটি চার এবং ৯৬ বল খেলে এই রান সংগ্রহ করেন তিনি।
অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতে হাল ধরেছিলেন প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়া ইমরুল কায়েস। তবে এরপর থিতু হতে পারেননি কেউই। তবুও সাতে নেমে দলের হয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে পেস অলরাউন্ডার আরিফুলের কাছ থেকে। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করেছেন তিনি। মাত্র ৩৭ বলে ৩৮ রানের সেই ইনিংসে ছিল চারটি চার এবং দুটি ছক্কার মার। এবার হ্যামিল্টন মাসাকাদজার বলে উইকেটরক্ষক চাকাভার হাতে ধরা পড়েন তিনি।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে মাঠে নামলেও মাত্র চার ওভার বল করেছেন তিনি, সেটিও জিম্বাবুয়ের প্রথম ব্যাটিং ইনিংসে। এর মধ্যে একটি ওভার রানশূন্য, বাকি ওভারগুলো মিলিয়ে মোট এসেছে সাত রান। তবে ব্যাট হাতে হলেও দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন তিনি। দলের দুর্দিনে এমনভাবে সবসময় হাল ধরতে পারবেন কি না আরিফুল, সেটিই এখন দেখার বিষয়।