বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ কিউই পেসারদের সামলানো

এবারের সফরের আগে চারবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। মোট সাতটি টেস্টের সবকটি ম্যাচে পরাজিত বাংলাদেশ তিনবার হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। তবে কিউইদের মাটিতে খেলতে গিয়ে একটি জিনিস বরাবরই সবচেয়ে বিপদের কারণ হয়েছে টাইগারদের জন্য। পেসারদের বিপক্ষে বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। আগামীকাল হ্যামিল্টনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে আবার মুখোমুখি হবে দুটি দল। নিউজিল্যান্ডে পঞ্চম এ সফরে আরো একবার কিউই পেসারদের সামলানোই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে এসেছে বাংলাদেশ দলের জন্য।
ঐতিহাসিকভাবেই নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন পেস-সহায়ক। কনকনে ঠান্ডা আর সবুজ ঘাসে মোড়ানো উইকেটে পেসাররা বেশ ভালো সুইং আর বাউন্স আদায় করে নেন এখানকার উইকেট থেকে। উপমহাদেশের দলগুলো কিউইদের মাটিতে টেস্ট খেলতে গিয়ে প্রায়ই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বাগতিক পেসারদের কাছে। বাংলাদেশ দলও এখানে পেসারদের মোকাবিলায় হিমশিম খেয়েছে। টাইগারদের বিপক্ষে নয়টি টেস্ট ম্যাচে ৫১ উইকেট নিয়ে স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টরি সবচেয়ে সফল বোলার। তবে কমপক্ষে ১০ উইকেট নিয়েছেন এমন কিউই বোলারদের তালিকায় পরের আটজনই পেসার।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক খেলোয়াড়দের মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে চার টেস্ট খেলে ১৯টি উইকেট নিয়েছেন পেসার ক্রিস মার্টিন। ডানহাতি মিডিয়াম পেসার ইয়ান ও’ব্রায়েন নিয়েছেন ১৫ উইকেট। মাত্র দুটি করে টেস্ট খেলে ক্রিস কেয়ার্নস ১৩ ও শেন বন্ড ১১টি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া অলরাউন্ডার জ্যাকব ওরাম পাঁচ টেস্ট খেলে ১০ উইকেট নিয়েছেন।
তবে টাইগারদের জন্য ভয়ের কারণ নিউজিল্যান্ড দলের বর্তমান বোলাররা। বাঁহাতি পেসার নিল ওয়াগনার তিন টেস্টে ১৭ উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। টিম সাউদি তিন ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছেন। এ দুজনেরই ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির আছে মাহমুদুল্লাহর দলের বিপক্ষে। আরেক পেসার ট্রেন্ট বোল্ট চার টেস্টে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে সম্ভবত এ তিনজনই কিউই দলে থাকছেন। তাই ভালো পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।
হ্যামিল্টনে এর আগে একটিই টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ২০০৯-১০ সালের সেই সফরে একমাত্র টেস্টে ১২১ রানে পরাজিত হয়েছিল লাল-সবুজের দল। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে কিউইদের টেস্ট রেকর্ডটাও বেশ ভালো। এখন পর্যন্ত এই মাঠে ২৪ টেস্টের ১১টিতেই জয় পেয়েছে তারা। সাতটি ম্যাচ ড্র হলেও কিউইরা পরাজিত হয়েছে ছয়টি ম্যাচে।