সল্টলেকে আজ বাংলাদেশ-ভারত মহারণ
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে আজ মঙ্গলবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। কলকাতার সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গন স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলা টিভি ও স্টার স্পোর্টস।
ফুটবল বা ক্রিকেট কিংবা যেকোনো প্রতিযোগিতায় সব সময় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ও ভারত। মাঠের লড়াই যেমনই হোক, মাঠের বাইরের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকে না কেউই। সে ক্ষেত্রে এ লড়াইটা কিছুটা আলাদা। কারণ ম্যাচটি হবে কলকাতায়। যেখানে বাংলা ভাষাভাষীদের সংখ্যাই বেশি। অনেকের কাছে লড়াইটা দুই বাংলার। এপার বাংলার সঙ্গে ওপার বাংলার। তাই বাড়তি উত্তেজনা তো থাকছেই।
অবশ্য বিগত পরিসংখ্যান ও বর্তমান মাঠের লড়াইয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে ভারত। ফুটবলে এখন পর্যন্ত ২৪ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। যার মধ্যে ১১টিতে জিতেছে ভারত, তিনটি জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি ১০টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। মাঝে কেটে গেছে ১৬টি বছর! ফিফা র্যাংকিংও কথা বলছে ভারতের পক্ষে। র্যাংকিংয়ে ভারতের অবস্থান ১০৪তম, বাংলাদেশের ১৮৭তম।
তবুও আশা ছাড়ছে না বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার কাতারের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় র্যাংকিং নিয়ে ভাবতে চাইছে না বাংলাদেশ শিবির। দারুণ লড়াই করেও কাতারের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজের দল। নিজেদের মাঠে কাতারের বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ভারতের বিপক্ষেও ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ।
ম্যাচ জয়ের আশা নিয়ে গতকাল সোমবার অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘দলের খেলোয়াড়রা যদি নিজেদের সামর্থ্যের পুরোটা দিয়ে খেলতে পারে, তাহলে ভারতের বিপক্ষে একটি ভালো ফল আদায় করা সম্ভব। ভারতের বিপক্ষে আমাদের ভালো কিছু করার সুযোগ আছে। আমার মনে হয়েছে, ওদের রক্ষণভাগ কিছুটা দুর্বল, বিশেষ করে ওদের রাইট ব্যাক ও লেফট ব্যাক। তবে যারা মাঝমাঠে ভালো করবে, এগিয়ে থাকবে, তাদেরই ম্যাচে ভালো করার এবং জয়ের সুযোগ তুলনামূলকভাবে বেশি থাকবে। কারণ সুযোগগুলো মাঝমাঠ থেকেই তৈরি হয়।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের বলতে চাই, মাঠে যাও, উপভোগ করো। এত দর্শকের সামনে তোমরা খেলার সুযোগ খুবই কম পাবে। স্রেফ মাঠে যাও, মুহূর্তটা উপভোগ করো এবং ভারতের মতো ভালো একটি দলের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট নিয়ে এসো।’
১৯৮৬ সালের পর এ পর্যন্ত বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের আটটি ম্যাচে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে সেরা সাফল্য ছিল ১৯৮৫ সালে। এ সময় ঢাকায় থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে গ্রুপের অপর প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষে জিততে পারেনি তারা।