এমসিসি থেকে সাকিবের পদত্যাগ
মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিশ্ব ক্রিকেট কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন সাকিব আল হাসান। গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার পর এমসিসি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমসিসির চেয়ারম্যান মাইক গ্যাটিং। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের কমিটি থেকে সাকিবকে হারানো সত্যি দুঃখজনক। সাকিব কয়েক বছর ধরে কমিটিতে অনন্য অবদান রেখেছেন। আমরা তাঁর পদত্যাগকে সমর্থন করি এবং এটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছি।’
প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ২০১৭ সালের অক্টোবরে এমসিসির বিশ্ব ক্রিকেট কমিটির সঙ্গে যুক্ত হন সাকিব। যে কমিটিতে রয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, রিকি পন্টিং, রমিজ রাজা ও কুমার সাঙ্গাকারার মতো ক্রিকেটাররা।
কমিটিতে যোগ দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও বেঙ্গালুরুতে দুটি সভায় অংশ নেন সাকিব। কাজ করেন ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। আগামী বছর মার্চে শ্রীলঙ্কায় কমিটির পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন করায় সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। অবশ্য ভুল স্বীকার করায় সাজার মেয়াদ এক বছর কমেছে। সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের মধ্যে তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু একবারও তা বিসিবি বা আইসিসিকে জানাননি তিনি। এই না জানানোই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলাফল নিষেধাজ্ঞা।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসু রায় অনুযায়ী আগামী ১২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে সাকিবকে। এই সময়ে দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসুর বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজে অংশ নেবেন তিনি। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে আবারও খেলায় ফিরতে পারবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।