বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুইটি ম্যাচে হারের পর সিরিজে টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়েই মাঠে নেমেছে জিম্বাবুয়ে। ভুসি সিবান্দা, ম্যালকম ওয়ালারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে বাংলাদেশের সামনে ছুঁড়ে দিয়েছে ১৮৮ রানের দুরূহ লক্ষ্য।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণভাবে করেছে জিম্বাবুয়ে। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রান যোগ করে দলকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও ভুসি সিবান্দা। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে মাসাকাদজাকে (২০) আউট করেছেন মোহাম্মদ শহীদ। নবম ওভারে সাকিবের বলে ফিরে যাওয়া মুতুম্বামির সংগ্রহও ২০ রান। ১১তম ওভারে ৪৪ রান করা সিবান্দাকে আউট করেও স্বস্তিতে থাকতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। চতুর্থ উইকেটে ৭৪ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে গেছেন ওয়ালার ও শেন উইলিয়ামস। ১৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ওয়ালার খেলেছেন ২৩ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। উইলিয়ামসের ব্যাট থেকে এসেছে ৩২ রান।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শেষপর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৮৭ রান। এটাই টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংসের নতুন রেকর্ড।
বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে আবু হায়দার রনি, মোহাম্মদ শহীদ, মুক্তার আলী ও মোসাদ্দেক হোসেনের। রনি আর শহীদ পেসার, মুক্তার ও মোসাদ্দেক হোসেন অলরাউন্ডার।
চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ পেয়েছে দাপুটে জয়। প্রথম ম্যাচে চার উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৪২ রানের ব্যবধানে। এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে করা পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলোও সফল হয়েছে। তবে মুশফিকুর রহিমের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি কিছুটা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের। শেষ দুটি ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেনকে।