‘লড়াই’টা যেন সাঙ্গাকারা-ডি ভিলিয়ার্সের
বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে প্রথম জয় তুলে নিয়ে ‘চোকার্স’ অপবাদ ঘোচাতে মরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার সামনে বিশ্বকাপে টানা চতুর্থবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠার হাতছানি। দুই দলের সেরা ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা আর এবি ডি ভিলিয়ার্স আছেন দারুণ ফর্মে। ডেল স্টেইন-মর্নে মরকেলের সঙ্গে লাসিথ মালিঙ্গার বলের লড়াইও আকর্ষণীয় হওয়ার কথা। সব মিলিয়ে বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল জমজমাট হওয়ারই কথা।
ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন ডি ভিলিয়ার্স শীর্ষে আর সাঙ্গাকারা দ্বিতীয় স্থানে। কেন তাঁরা এ সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান, এই বিশ্বকাপেই তা প্রমাণিত। টানা চার ম্যাচে সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ড গড়ে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকা সবার ওপরে আছেন সাঙ্গাকারা। আর মাত্র ৪ রান করলেই এবারের বিশ্বকাপে ৫০০ রান হয়ে যাবে তাঁর। দুটি ফিফটি ও একটি সেঞ্চুরিতে ৪১৭ রান করে ডি ভিলিয়ার্স আছেন তৃতীয় স্থানে।
সাঙ্গাকারার ব্যাটিংয়ে আর সবার মতো ম্যাথিউসও মুগ্ধ। দলের সেরা ব্যাটসম্যানের জন্য আগাম শুভকামনা জানিয়ে আরেক অভিজ্ঞ মাহেলা জয়াবর্ধনের কাছ থেকে বড় কিছুর প্রত্যাশা শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের, ‘আমরা কুমার সাঙ্গাকারাকে টানা চারটি সেঞ্চুরি করতে দেখেছি। আশা ও প্রার্থনা করছি, তিনি আগামীকাল (বুধবার) পঞ্চম শতকও পাবেন। মাহেলা (জয়াবর্ধনে) বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। আশা করছি আমরা একটা ঐতিহাসিক জয় দিয়ে আবার সেমিফাইনালে যাব। তারপর ফাইনালে উঠব। ফাইনালও জিতে আমাদের দুই কিংবদন্তী সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের জন্য এই বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’
দারুণ ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার এমনিতে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা শুধু একটাই—এটা নক-আউট ম্যাচ! বিশ্বকাপে আজ পর্যন্ত নক-আউট ম্যাচ জিততে ব্যর্থ প্রোটিয়ারা বুধবারও চাপের মুখে ভেঙে পড়ে কি না তা দেখতে উন্মুখ ক্রিকেটপ্রেমীরা।
শিষ্যদের চাপ কাটাতে স্বদেশের বিখ্যাত অভিযাত্রী মাইক হর্নের দ্বারস্থ হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গা। অ্যামাজন আর উত্তর মেরুতে রোমাঞ্চকর অভিযানের অভিজ্ঞতা শুনিয়ে খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টায় ব্যস্ত হর্ন। গত বিশ্বকাপে হর্নকে ভারতের ড্রেসিং রুমে নিয়ে এসেছিলেন ‘টিম ইন্ডিয়া’র সে সময়ের কোচ গ্যারি কারস্টেন। ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপজয়ী জার্মান দলের মনোবল বাড়াতেও সাহায্য করেছিলেন হর্ন।