জ্বলে উঠল অলিম্পিকের মশাল
ক্রীড়াবিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিকে যেন ঘুঁচে যায় আধুনিকতা আর পৌরাণিক লোককথার দূরত্ব। প্রাচীন এই ক্রীড়া আসরের শুরুতে এখনো পালন করা হয় হাজারো বছরের পুরোনো প্রথা। বিশ্বের যে প্রান্তেই আয়োজিত হোক না কেন, অলিম্পিকের আনুষ্ঠানিকতা এখনো শুরু হয় গ্রিস থেকে। প্রাচীন প্রথা অনুসারে গ্রিসেই প্রথম জ্বালানো হয় অলিম্পিক মশাল। এবারের রিও অলিম্পিকের আগেও গ্রিসে জ্বলে উঠেছে অলিম্পিকের মশাল।
ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে আগামী ৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে এবারের অলিম্পিক। তার আগে বরাবরের মতো এবারও অলিম্পিকের মশাল জ্বলে উঠেছে গ্রিসের অলিম্পিয়া শহরে। এবারের অলিম্পিকের মশাল জ্বালিয়েছেন গ্রিক অভিনেত্রী ক্যাটেরিনা লেহো। মশালটি এখন ছয়দিন ধরে ঘুরবে পুরো গ্রিসে। অ্যাথেন্সে অভিবাসীদের ক্যাম্পেও মশালটি আনা হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।
৩ মে অলিম্পিকের মশাল যাবে এবারের আয়োজক দেশ ব্রাজিলে। এরপর ১০০ দিন ধরে পুরো ব্রাজিলজুড়ে ঘুরবে অলিম্পিকের মশাল। দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় এই দেশের ৫০০ শহর ও গ্রামে দেখা যাবে এই মশালের শিখা। পুরো ব্রাজিল পরিভ্রমণের সময় প্রায় ১২ হাজার মানুষ বহন করবেন এবারের অলিম্পিক মশাল।
গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী, জিউসের কাছ থেকে আগুন চুরি করে মানুষকে দিয়েছিলেন প্রমিথিউস। সেই আগুনের স্মরণেই জ্বালানো হয় অলিম্পিক মশাল। আধুনিক সময়ে এই প্রথা আবার চালু হয়েছিল ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিক থেকে। আট দশক ধরে অলিম্পিক শুরুর আগে প্রথম মশালটা জ্বালানো হচ্ছে গ্রিসের অলিম্পিয়া শহরে।