কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ফ্রেঞ্চ ওপেন

গত নভেম্বরে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার দুঃসহ স্মৃতি এখনো প্যারিসের মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। আজ রোববার থেকে শুরু হওয়া ফ্রেঞ্চ ওপেন নিয়ে তাই একটু বেশিই সতর্ক টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ। বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টকে নিরাপদ রাখতে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা।
নোভাক জোকোভিচের ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের আশা পূরণ হবে তো? প্যারিসে ২২তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে স্টেফি গ্রাফের পাশে দাঁড়াতে পারবেন সেরেনা উইলিয়ামস? প্রিয় রোলাঁ গারোতে দশম শিরোপা জিতে নিজের রেকর্ডকে আরো উন্নত করতে পারবেন রাফায়েল নাদাল? এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেনের শুরু থেকে এসব প্রশ্ন ঘুরছে টেনিসভক্তদের মনে। পাশাপাশি একটা শঙ্কাও কাজ করছে। কোনো হামলা হবে না তো! প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার দর্শককে নিরাপত্তা দেওয়া তো সোজা কথা নয়।
কর্তৃপক্ষ অবশ্য সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। টুর্নামেন্ট পরিচালক গি ফর্জে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘নিরাপত্তাকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এবারের নিরাপত্তাব্যবস্থা অনেক বেশি শক্তিশালী করা হয়েছে। দুই স্তরের নিরাপত্তা ঘেরের পাশাপাশি মাত্র তিনটি প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। আমরা বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে চাই না।’ মেটাল ডিটেক্টর, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে পুরো এলাকা তল্লাশি, ব্যাগ পরীক্ষা ইত্যাদির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে এবার।
ফ্রেঞ্চ ওপেনে এমন নিরাপত্তাব্যবস্থা অভিনবই বটে। ক্লে-কোর্টের একমাত্র গ্র্যান্ড স্লামে নিরাপত্তা বেশ শিথিলই ছিল এতদিন। যে কারণে বিপদও হতে পারত। গত বছর বিজ্ঞাপন বোর্ড পেরিয়ে কোর্টে ঢুকে রজার ফেদেরারের সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করেছিলেন এক তরুণ। তার আগের বছর এই সুইস তারকাকেই টুপি পরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন এক ভক্ত। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় তেমন কোনো অঘটন ঘটেনি।
তবে এবার তেমন ঘটনা ঠেকাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ফ্রেঞ্চ ওপেন কর্তৃপক্ষ। এবারের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় জোকোভিচও সন্তুষ্ট। এএফপিকে তিনি বলেছেন, ‘কয়েক মাস আগে প্যারিসে কী হয়েছিল কিংবা এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে কী ঘটছে তা নিয়ে আমি যথেষ্ট সচেতন। আমাদের অবশ্যই নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। আমি এর বিরুদ্ধে নই। পরে সরি বলার চেয়ে আগেই নিরাপদ থাকা ভালো।’