মেসি জাদুতে কোপার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোর জন্যই যেন নিজের সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচে মাত্র ৩০ মিনিট খেলে হ্যাটট্রিক করলেও ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে যেন সেটাকেও ছাড়িয়ে গেলেন এ সময়ের সেরা ফুটবলার। নিজে একটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়েও করালেন দুটি গোল। অধিনায়কের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ভর করে আর্জেন্টিনাও পেল ৪-১ গোলের দাপুটে জয়। শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে গেল আরো এক ধাপ।
ম্যাচের শুরুতেই আর্জেন্টিনা এগিয়ে গিয়েছিল গঞ্জালো হিগুয়েইনের গোলে। ৮ মিনিটের মাথায় মেসির দারুণ এক পাস থেকে বল পেয়ে সেটি জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার এই স্ট্রাইকার। ২৮ মিনিটে আকাশি-সাদাদের দ্বিতীয় গোলটিও এসেছে হিগুয়েইনের পা থেকে। ভেনেজুয়েলার রক্ষণভাগের ভয়ানক ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি হিগুয়েইন।
৩৮ মিনিটে ভেনেজুয়েলাও পেয়েছিল গোল শোধ করার মোক্ষম সুযোগ। কিন্তু সলোমন রনডনের হেড ফিরে আসে আর্জেন্টিনার গোলপোস্টে লেগে। ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি ভেনেজুয়েলা। দুর্বল একটি শট সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে তুলে দিয়েছেন লুইস সেইজাস।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর ৬০ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনা পেয়েছে তৃতীয় গোল। গাইতানের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান খেলে ভেনেজুয়েলার জালে বল জড়িয়েছেন মেসি। এই গোল করে আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডও স্পর্শ করে ফেলেছেন এই খুদে জাদুকর। ৫৪ গোল নিয়ে তিনি বসে গেছেন গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার পাশে।
৭০ মিনিটের মাথায় অবশেষে একটি গোল শোধ করতে পেরেছে ভেনেজুয়েলা। আলেহান্দ্রো গুয়েরার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়িয়েছেন রনডন। তবে এক মিনিট পরেই আবার ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে মেসির ডিফেন্সচেরা পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেছেন বদলি হিসেবে মাঠে নামা এরিক লামেলা।
৪-১ গোলের এই জয় দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। শেষ চারের লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।
ইনজুরির কারণে গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই চমক দেখিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে খেলেছেন পুরো ৯০ মিনিট।