বিশ্বকাপ নায়কের অনুজ্জ্বল জীবন!
মারিও গোৎসার কথা মনে আছে? ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে বদলি হিসেবে নেমে অতিরিক্ত সময়ে দুর্দান্ত গোল করে জার্মানিকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ জয়ের পর তাঁকে নিয়ে অনেক মাতামাতিও হয়েছিল। কিন্তু এবারের ইউরোতে গোৎসাকে যেন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে তিনি নিজেও বেশ বিব্রত।
গত দুই বছরে অনেকটা সময় চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল গোৎসাকে। সুস্থ থাকলেও অবশ্য তেমন মাঠে নামার সুযোগ হয়নি। বায়ার্ন মিউনিখে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের পজিশনে তাঁর বদলে থিয়াগো আলকান্তারার ওপরেই বেশি আস্থা রেখেছেন কোচ পেপ গার্দিওলা।
ইউরোতে অবশ্য গোৎসাকে ভালোই সুযোগ দিচ্ছেন জার্মানির কোচ জোয়াকিম লোউ। কিন্তু বিশ্বকাপের নায়ক চরম ব্যর্থ। ইউক্রেনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে প্রথম ১৮ মিনিট বলই স্পর্শ করতে পারেননি। প্রায় ৯০ মিনিট মাঠে থাকলেও পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিতে পেরেছিলেন মাত্র একবার। পোল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ৭২ মিনিট মাঠে থেকে শট নিয়েছিলেন মাত্র দুবার।
গোৎসার এমন অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সে জার্মানিজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জার্মানির কয়েকজন ফুটবল বিশেষজ্ঞের অভিমত, পরের ম্যাচেই তাঁকে বাদ দেওয়া হোক প্রথম একাদশ থেকে।
সমালোচনার তীরে বিদ্ধ গোৎসা নিজেও বিব্রত। তবে নিজের দুরবস্থাকে তিনি দেখছেন দার্শনিকসুলভ ভঙ্গিতে, ‘এটাই ফুটবল। এখানে কখনো আপনি কুকুর, কখনো গাছ। এটাই ফুটবলের অংশ।’
‘দার্শনিক’ গোৎসার দলের পরের ম্যাচ আগামীকাল মঙ্গলবার, উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। দেখা যাক, এবার বিশ্বকাপের নায়ক জ্বলে উঠতে পারেন কি না!