ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে শেষ আটে পর্তুগাল
গ্রুপ পর্বে কোনোরকমে তিনটি ড্র করে শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত করেছিল পর্তুগাল। আর ক্রোয়েশিয়া নকআউট পর্বে উঠেছিল দাপটের সঙ্গে, গত দুবারের শিরোপাজয়ী স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। অথচ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্রোয়াটরা পরাস্ত। শনিবার রাতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচ ১-০ গোলে জিতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ আটের টিকেট হাতে পেয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।
ফ্রান্সের লেঁসে প্রথমার্ধে আক্রমণের চেয়ে রক্ষণকাজেই বেশি মনোযোগ ছিল দুদলের। প্রথমার্ধে বলার মতো সুযোগ ছিল একটাই। কিন্তু ফ্রিকিক থেকে পেপের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে হতাশ করেছে পর্তুগিজদের।
বিরতির পর বরং বেশি উপভোগ্য ছিল লড়াই। দুবার গোলের কাছাকাছি গেলেও সফল হতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। আর একবার পর্তুগালের পেনাল্টির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রেফারি। ৬৪ মিনিটে ইভান স্ত্রিনিচের বিরুদ্ধে বক্সের মধ্যে ফাউল করার অভিযোগ করেছিলেন নানি। কিন্তু রেফারি তাতে সাড়া দেননি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে কোনো দলই তেমন ঝুঁকি নেয়নি। তাই গোলের সুযোগও তেমন তৈরি হয়নি।
তবে খেলা জমেছে দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিট প্রাধান্য ছিল ক্রোয়েশিয়ার। শেষ বাঁশির মিনিট চারেক আগে ইভান পেরিশিচের অ্যাক্রোবেটিক ঢংয়ে নেওয়া শট ফিরে এসেছে পর্তুগালের পোস্টের নিচে লেগে।
পাল্টা আক্রমণ থেকেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলের জন্ম। রোনালদোর শট কোনোরকমে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিচ। কিন্তু ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা রিকার্দো কুয়ারেসমার হেড কারো পক্ষে ঠেকানো সম্ভব হয়নি। আর এই গোলটিই কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে গেছে রোনালদোদের।