‘ওয়েলসের ফুটবল ইতিহাসের সেরা রাত’
সেই ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার পর আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পায়নি ওয়েলস। ইউরো নামে পরিচিত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এবারই প্রথম খেলতে এসেছে তারা। আর শুরুতেই বাজিমাত! কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে ওঠার আনন্দে বিভোর ওয়েলস। দেশটির সাবেক অধিনায়ক ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা রায়ান গিগসের মনেও এখন খুশির জোয়ার।
শুক্রবার রাতে ফ্রান্সের লিলায় প্রথমে পিছিয়ে পড়েও অধিনায়ক অ্যাশলি উইলিয়ামস, হাল রবসন কানু ও স্যাম ভোকসের গোল স্মরণীয় জয় এনে দিয়েছে ওয়েলসকে। স্বদেশের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আবেগাপ্লুত ম্যানইউর হয়ে রেকর্ড ৯৬৩ ম্যাচ খেলা গিগস। ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল আইটিভিতে ফুটবল বিশ্লেষকের দায়িত্ব পালন করা গিগস বলেছেন, ‘আমি ভীষণ গর্বিত। নিঃসন্দেহে এটাই ওয়েলসের ফুটবল ইতিহাসের সেরা রাত। ওয়েলসের ফুটবল ইতিহাসের সেরা সাফল্যও বটে। তবে সবচেয়ে বড় কথা, এটাই আমাদের সেরা পারফরম্যান্স।’
১৯৯১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৬৪ বার জাতীয় দলের জার্সি পরে মাঠে নামা গিগস বেলজিয়ামের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে উত্তরসূরীদের চমৎকার নৈপুণ্যে অভিভূত, ‘বিশ্ব র্যাংকিংয়ে দুই নম্বরে থাকা দলকে সাধারণ মানের দলে পরিণত করে শেষ পর্যন্ত এমন স্বচ্ছন্দে জয় পাওয়ায় আমি মুগ্ধ। প্রতিটি বিভাগে ওয়েলস অনেক ভালো খেলেছে। রক্ষণ, আক্রমণ সব জায়গায়। তারা প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়েছে। তাদের অনেক স্বচ্ছন্দ মনে হয়েছে।’