টাইব্রেকারের ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ জিতে শেষ চারে জার্মানি
বিশ্বকাপ বা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আগে কখনো ইতালিকে হারাতে পারেনি জার্মানি। অবশেষে জার্মানদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো এমন এক কোয়ার্টার ফাইনালে, যাকে তুলনা করা যেতে পারে ‘স্নায়ুযুদ্ধ’র সঙ্গে! ইউরোর টানটান উত্তেজনার লড়াইয়ে ইতালির বিপক্ষে জার্মানি জিতেছে টাইব্রেকারের সাডেন ডেথে, ৬-৫ গোলে। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল খেলা। সেমিফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স-আইসল্যান্ড ম্যাচের বিজয়ী দল।
গুলশানে ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নয় ইতালিয়ানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছিল ‘আজ্জুরি’রা। খেলা শুরুর আগে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করাও হয়েছিল। তখন কে জানত, খেলা শেষে টাইব্রেকারে হারের শোকে স্তব্ধ হয়ে যাবে ইতালি।
শনিবার রাতে ফ্রান্সের স্তাদে দে বর্দোতে প্রথমার্ধে প্রাধান্য ছিল জার্মানির। তবে বেশ কয়েকবার গোলের সম্ভাবনা জাগালেও কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা খুঁজে পায়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বিরতির পর অবশ্য হতাশ হতে হয়নি জার্মানদের। ৬৫ মিনিটে ইয়োনাস হেক্টরের ক্রস ধরে, দুজন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে চমৎকার গোল করেছেন মেসুত ওজিল।
৭৮ মিনিটে সমতায় ফিরেছে ইতালি। একটি ক্রস বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন জেরোম বোয়াটেং। কিন্তু বল তাঁর হাতে লাগলে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছেন রেফারি। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ইতালিয়ানদের সমতায় ফিরিয়েছেন লিওনার্দো বোনুচ্চি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের বাকি সময় আর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে দুদলই একাধিক সুযোগ পেলেও গোল আর হয়নি। তাই খেলা গড়িয়েছে টাইব্রেকারে।
সেখানেও কম নাটক হয়নি। প্রথম পাঁচ শটে দুদলই তিনবার ব্যর্থ হয়েছে গোল করতে। মানে ২-২ সমতা। তাই দ্বারস্থ হতে হয়েছে সাডেন ডেথের।
সাডেন ডেথে আবার উল্টো চিত্র। প্রথম তিনটি শট থেকেই গোল করেছে দুদল। কিন্তু চতুর্থ শটে ইতালিকে গোল এনে দিতে পারেননি মাত্তেও দারমিয়ান। হেক্টর অবশ্য সেই ভুল করেননি। ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে জার্মানদের অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছেন এই ডিফেন্ডার।