ফরাসি সৌরভে সম্মোহিত আইসল্যান্ড
খেলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে সবাই স্তম্ভিত! প্যারিসের স্তাদে দি ফ্রান্সের বাইরে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ। তাতেই কি ভয় পেয়ে গিয়েছিল আইসল্যান্ড? নইলে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অপ্রতিরোধ্য দলটির এমন দুর্দশা হবে কেন? ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে আইসল্যান্ড পাত্তাই পায়নি ফ্রান্সের কাছে। স্বাগতিকরা জিতেছে বড় ব্যবধানে, ৫-২ গোলে। তাই আগামী বৃহস্পতিবার ফ্রান্স-জার্মানির রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত।
স্তাদে দি ফ্রান্সের সঙ্গে ফরাসিদের অনেক সুখস্মৃতি জড়িয়ে। সবচেয়ে সেরা স্মৃতি অবশ্যই ১৯৯৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল। জিনেদিন জিদানের অবিস্মরণীয় নৈপুণ্যে ভর করে যে ম্যাচে ‘লা ব্লুজ’ ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ব্রাজিলকে। রোববার রাতে একই মাঠে ফ্রান্স একইভাবে বিধ্বস্ত করেছে প্রতিপক্ষকে। শেষ ষোলোতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়া আইসল্যান্ডের অসহায় আত্মসমর্পণের চিত্র তো স্কোরলাইনেই পরিষ্কার।
১২ মিনিটে ফ্রান্সের গোলোৎসবের সূচনা। ব্লেজ মাতুইদির পাস ধরে, বাঁ দিক দিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন অলিভিয়ার জিরুদ। সাত মিনিট পর আবার গোল। আন্তইন গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে দারুণ হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন পল পগবা।
১৯ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে গেলেও ফ্রান্সের গোলের খিদে মেটেনি। তাই বিরতির আগে আরো দুই গোলের দেখা পেয়েছে ‘লা ব্লুজ’। ৪২ মিনিটে বক্সের একটু বাইরে থেকে গড়ানো শটে দলের তৃতীয় গোলটি করেছেন দিমিত্রি পায়েত। আর বিরতির বাঁশির ঠিক আগে পাল্টা আক্রমণ থেকে দারুণ এক ভলিতে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করে দিয়েছেন গ্রিজম্যান।
তবে স্কোরলাইন ৪-০ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ভালোই জমেছে খেলা। ৫৬ মিনিটে গিলফি সিউর্দসনের পাস থেকে আইসল্যান্ডের প্রথম গোল করেছেন কোলবেইন সিগদরসন। কিন্তু তিন মিনিট পরই পায়েতের ফ্রিকিক থেকে জিরুদের চমৎকার হেড আবার চার গোলের ব্যবধান এনে দিয়েছে দুদলের মধ্যে। ৮৪ মিনিটে বির্কির বিয়ারনাসনের দুরন্ত হেড কমিয়ে দিয়েছে ব্যবধান। তবে বাকি সময়ে আর কিছু করতে পারেনি আইসল্যান্ডিকরা।