এবার আনন্দে কাঁদতে চান রোনালদো
২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো ইউরো কাপের ফাইনালে উঠেছিল পর্তুগাল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তখন ছিলেন ১৯ বছরের টগবগে তরুণ। সেবার পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু ফাইনালে গ্রিসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে হতাশ হতে হয়েছিল রোনালদোকে। ম্যাচ শেষে মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন এই পর্তুগিজ তারকা। এক যুগ পর আবারও ইউরো কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল। এবারও শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াই শেষে কাঁদতে চান রোনালদো। তবে হতাশায় নয়, শিরোপা জয়ের আনন্দে।
রোনালদোর পর্তুগাল যে ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারবে, তা হয়তো ইউরো কাপের শুরুর দিকে অনেকেই ভাবতে করতে পারেননি। গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচের একটিতেও জয় পাননি রোনালদোরা। সব ম্যাচই ড্র করে কোনোমতে জায়গা করে নিয়েছিল নকআউট পর্বে। শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার ফাইনালেও নির্ধারিত ৯০ মিনিটে জয়ের দেখা পায়নি পর্তুগাল। ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়েছিল অতিরিক্ত সময়ের খেলায়, ১-০ গোলে। আর কোয়ার্টার ফাইনালে পোল্যান্ড-বাধা পেরিয়েছিল টাইব্রেকার দিয়ে। তবে ওয়েলসের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছিলেন পর্তুগালের খেলোয়াড়রা। রোনালদো ও নানির গোলের সুবাদে পেয়েছে ২-০ গোলের জয়। আর একটি ম্যাচে জয় পেলেই প্রথমবারের মতো ইউরো কাপ জয়ের আনন্দে মেতে উঠতে পারবে পর্তুগাল। রোনালদোও এখন দেখছেন সেই স্বপ্ন। সেমিফাইনাল শেষে তিনি বলেছেন, ‘আশা করছি, আগামী রোববার আপনারা আমাকে আনন্দে কাঁদতে দেখবেন। আমি সব সময়ই বলেছি, আমি পর্তুগালের হয়ে কিছু জিততে চাই।’
২০০৪ সালের পর ইউরোর দুটি আসরে অংশ নিয়ে শিরোপা জয়ের এত কাছাকাছি যেতে পারেনি পর্তুগাল। ২০০৮ সালে বিদায় নিতে হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। আর ২০১২ সালে পর্তুগাল যেতে পেরেছিল সেমিফাইনাল পর্যন্ত। দুবারই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রোনালদো। গত তিন আসরের মতো এবার আর হতাশ হতে হবে না বলেই বিশ্বাস তিনবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের, ‘আমি সব সময়ই পর্তুগালের হয়ে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছি। আশা করছি, এবার সময়টা আমাদের পক্ষে থাকবে। আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। এটা আমার প্রাপ্য, পর্তুগালের প্রাপ্য। পর্তুগালের সব মানুষও এই শিরোপাটা প্রত্যাশা করে।’
শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে অবশ্য কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হবে পর্তুগালকে। খেলতে হবে হয় স্বাগতিক ফ্রান্স অথবা বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির বিপক্ষে।