শুরুর ধাক্কা সামলে আফগানদের প্রতিরোধ
টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান এক শক্তিশালী দলের নাম। সেই বিষয়টি বেশ ভালো করেই জানা সাকিব আল হাসানের দলের। কারণ এই আফগানদের বিপক্ষে খেলা ৯ টি-টোয়েন্টির ৬টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের দলের সামনে সুযোগ সেই পরিসংখ্যানে বদল আনার। সেই লক্ষ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই হারিয়েছে ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট। দলীয় ১৬ রানের মাথায় নাসুমের বলে তুলে মারতে গিয়ে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন জাজাই। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ৪ রান।
এর আগে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তাসকিনের বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন গুরবাজ। তবে দুর্দান্ত প্রচেষ্টার পরও সেই ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি রনি তালকুদার। চতুর্থ ওভারেই গুরবাজকে ফেরান তাসকিন। দলীয় ২৬ রানের মাথায় মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গুরবাজ। ১১ বলে ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর দলীয় ৩২ রানে শরিফুলের বলে আউট হন আরেক ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান। উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৬ বলে ৮ রান করেন তিনি। এরপর উইকেট নেওয়ার তালিকায় নাম লেখান অধিনায়ক সাকিব।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে সাকিবের বলে মিডঅফে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন করিম জানাত। ৯ বলে ৩ রান আসে ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। এরপর নাজিবউল্লাহ জাদরানকে ফেরান মেহেদী মিরাজ। জাদরান বিদায় নেওয়ার পর ওমরযাইকে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন নবী। এই দুইজনের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের পথে সফরকারীরা।
ইতিহাস গড়ে টেস্ট সিরিজ জিতলেও, ওয়ানডে সিরিজে এসেই খেই হারিয়েছে লাল-সবুজের দল। তাই ওয়ানডে সিরিজের ব্যর্থতা ভুলে টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়ানো বাংলাদেশের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। কাজটা সহজ হবে না সাকিবের দলের। তাই দুই দলের লড়াইটা যে জমজমাট হবে, তা তো বলাই যায়।