গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি
লিটনদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন সাকিবের মন্ট্রিয়েল টাইগার্স
নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণটা আরও একবার দিলেন ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে রাসেল। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে সারে জাগুয়ার্সের বিপক্ষে ৬ বলে ২০ রান করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এমন জয়ের প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতল মন্ট্রিয়েল টাইগার্স।
দল শিরোপা জিতলেও ফাইনাল খেলার সুযোগ পাননি তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে এখন শ্রীলঙ্কায় এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে এএলপিএলে যাওয়ার আগে মন্ট্রিয়েলের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব।
রোববার (৬ আগস্ট) ব্রাম্পটনের সিএএ সেন্টারে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে সারে জাগুয়ার্স। জবাবে শেষ ওভারে ১৭ রান তুলে ৫ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় মন্ট্রিয়েল টাইগার্স।
১৩১ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাজে শুরু করে মন্ট্রিয়েল। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট হারায় মন্ট্রিয়েল। এরপর অবশ্য শুরুর চাপ সামাল দেন অধিনায়ক ক্রিস লিন ও শ্রীমন্তে বিজেরত্নে মিলে গড়েন ৩৫ রানের জুটি। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ১৫ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন শ্রীমন্তে।
এরপর দিলপ্রীত সিংহকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন লিন। এই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৬০ রানের মাথায় লিনের বিদায়ে বেশ বড়সড় ধাক্কা খায় মন্ট্রিয়েল। ৩৫ বলে ৩১ রান করে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ১ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন আরেক ব্যাটার দিলপ্রীত। ১৫ বলে ১৪ রান করেন তিনি।
দ্রুত দুই উইকেট হারালেও শেরফেন রাদারফোর্ড ও দিপেন্দ্র সিংহ মিলে ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন। তবে দলীয় ১০৬ রানের সময় ১৭ বলে ১৬ করে দিপেন্দ্রর বিদায়ে ফের চাপে পড়ে মন্ট্রিয়েল। তবে শেষদিকে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে সারে। তবে রাসেলের ব্যাটিং বীরত্বে জিততে পারেনি দলটি। ৬ বলে ২০ রান করে দলকে জেতান এই অলরাউন্ডার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করেন সারের দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও যতীন্দার সিংহ। এই দুইজনের ৩৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের আশা দেখছিল সারে। তবে দলীয় ৩৫ রানের মাথায় হারিসের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ২২ বলে ২৩ রান করেন হারিস।
এরপর লিটনকে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেও হতাশ হতে হয় যতীন্দারকে। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় আয়ান খানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১২ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৩০ রানের বেশি তুলতে পারেনি সারে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ বলে ৫৬ রান করেছেন যতীন্দার।
পুরো আসরে ৭ ইনিংসে ২১.৭১ গড়ে লিটনের সংগ্রহ ১৫২ রান। যা লিটনের সঙ্গে বড্ড বেমানান। তাই নির্দ্বিধায় বলা হয়, প্রথমবার কানাডায় খেলতে যাওয়া লিটনের টুর্নামেন্ট হতাশাতেই শেষ হলো। সঙ্গে বিদেশের মাটিতে ফ্যাঞ্চাইজি লিগ জিততে না পারার হাহাকারটাও রয়ে গেল।