ব্যালন ডি’অরের অষ্টম স্বর্গে মেসি

লিওনেল মেসি না আর্লিং হলান্ড। কার হাতে উঠবে এবারের ব্যালন ডি’অর? বেশ কিছু দিন থেকে এ প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল ফুটবল পাড়ায়। শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জন থামিয়ে ফুটবলের চরম আরাধ্যের এ পুরস্কারটি এবারও নিজের করে নিয়েছেন মেসি। ২০২৩ সালের ব্যালন ডি’অর উঠল বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়কের হাতে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দিনগত রাতে প্যারিসের থিয়েটার ডু চ্যাটেলেটে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে নিজের রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করে অষ্টমবারের মতো এ পুরস্কার হাতে তুলে নেন মেসি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তারকা ফুটবলার দিদিয়ের দ্রগবা ও ফরাসি সাংবাদিক স্যান্ডি হ্যারিবাট।
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জেতেন মেসি। এরপর তারই রাজত্ব চলতে থাকে। বার্সেলোনার জার্সিতে টানা তিনটি ব্যালন ডি’অর জেতেন আর্জেন্টাইন এই ফুটবল জাদকুর। ২০২১ এ জেতেন ফরাসি ক্লাব পিএসজির জার্সিতে। আর এবার জিতলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে।
ব্যালন ডি’অরের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সময়কে। এ সময়ে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি পিএসজির হয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ জিতেছেন মেসি। এমনকি নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়েও দারুণ শুরু করেছিলেন।
ব্যালনের প্রায় সাত দশকের ইতিহাসে কেবল দ্বিতীয়বারের মতো মৌসুম বিবেচনায় আনা হয়েছে। আগে বার্ষিক পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ঘোষণা করা হতো। ১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়ার রীতি চালু করা হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো। এর পর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে কেবল ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেওয়া শুরু হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।