ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
একের পর এক পরাজয়ে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল আগেই। এরপর চোখ রাঙাচ্ছিল হোয়াইটওয়াশ। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে এই লজ্জা এড়াতে শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু, বাংলাদেশের নারীরা পারলেন না মান বাঁচাতে। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে হেরে ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজ ৫-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে ভারত।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেছে ভারত। দলের হয়ে ৩৮ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন হেমলতা। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ থমকে যায় ১৩৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন রিতু মনি।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১৯ রানেই যায় প্রথম উইকেট। পরে ওভারে দিলারা আক্তারকেও হারায় স্বাগতিকরা। তিনে নেমে এলবির ফাঁদে পড়েন রুবাইয়া হায়দার। অধিনায়ক নিগার সুলতানাও পারেননি প্রতিরোধ করতে। তিনি বিদায় নেন ৭ রান করে।
দ্রুত উইকেট হারানোর মিছিলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই বিপদ কাটিয়ে রিতু মনি ও শরিফা প্রতিরোধ গড়লেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যোটিং বেছে নিয়েছে সফররত ভারত। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে অবশ্য হোঁচট খায় ভারত। দলীয় ২৫ রানে হারায় ওপেনার শেফালি ভার্মাকে। পঞ্চম ওভারের সুলতানা খাতুনের ডেলিভারিতে ১৪ রানে আউট হন শেফালি।
কিন্তু থিতু হয়ে যান স্মৃতি। তিনি দলীয় ৬২ রানে গিয়ে সাজঘরে ফিরেন। ২৫ বলে ৩৩ রান করা স্মৃতিকে এলবির ফাঁদে ফেলেন নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হন হারমানপ্রীত কৌর এবং হেমলতা। দুজনেই উইকেটে থিতু হয়ে চড়াও হন। শেষ পর্যন্ত হারমানপ্রীতকে নিজের এলবির শিকার বানিয়েই বিদায় করেন নাহিদা। সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ৩০ রান করে যান ভারত অধিনায়ক।
থিতু হওয়ার আরেক ব্যাটারকে মাঠছাড়া করেন রাবেয়া খাতুন। তবে, বিদায় নেবার আগেই দলের ভিত গড়ে দিয়ে যান হিমলতা। তিনি ফেরার পর অবশ্য রানের গতি কমে ভারতের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ১৫৬ রানে থামে সফরকারীরা।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ২৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। রাবেয়া খাতুন নেন ২৮ রানে দুই উইকেট। সুলতানা খাতুনের শিকার একটি।