জমে উঠেছে প্লে-অফের দৌড়, কোন দলের সামনে কী সমীকরণ?
শেষের পথে আইপিএলের লিগ পর্বের লড়াই। প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাকি তিন জায়গার জন্য লড়াইয়ে সাত দল। সবমিলিয়ে বেশ জমে ওঠেছে শেষ চারের লড়াই। কোন দলের কী সমীকরণ দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
লিগ পর্বে আরও বাকি আটটি ম্যাচ। শেষ চারের লড়াইয়ে কেউ এগিয়ে, কেউ পিছিয়ে। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে প্লে-অফের লড়াই জমিয়ে দিয়েছে কোহলির ব্যাঙ্গালুরু। রাজস্থানকে হারিয়ে আশা টিকিয়ে রেখেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। এমনকি পয়েন্ট টেবিলের আটে থাকা গুজরাটও কাগজে-কলমে টিকে আছে। দেখে নেওয়া যাক দলগুলোর সমীকরণের মারপ্যাচ। ১২ ম্যাচে ৯ জয় তুলে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করা কেকেআর বাকি ম্যাচগুলো হারলেও পয়েন্টের পাশাপাশি নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় তালিকার প্রথম দুইয়ে থেকেই প্লে-অফে খেলবে।
রাজস্থান রয়্যালস : ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে অবস্থান আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান রয়্যালসের। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষ দুইয়ে থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে দলটির। রাজস্থানের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে শেষ করার সম্ভাবনা প্রায় ৩৭.৫ শতাংশ। বাকি দুই ম্যাচ হারলেও অন্য যেকোনো দলের চেয়ে প্লে-অফের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে তারা।
চেন্নাই সুপার কিংস : শুরুটা ভালো করলেও মাঝে কিছু ম্যাচে হোঁচট খেয়ে বিপাকে পড়েছে ধোনির দল। ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান চেন্নাইয়ের। শেষ ম্যাচে কোহলির আরসিবির বিপক্ষে জিতলে পারলে প্লে-অফ অনেকটাই নিশ্চিত হবে সিএসকের। আর হারলে পড়তে হবে সমীকরণের মারপ্যাচে। নেট রানরেটেও অনেকটা এগিয়ে চেন্নাই। ধোনিদের প্রথম চারে শেষ করার সম্ভাবনা ৯১ শতাংশ।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ : আইপিএলের ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে। এখনও দুটি ম্যাচ বাকি থাকায় ভালো সম্ভাবনা রয়েছে তাদেরও। এক ম্যাচ কম খেলায় চেন্নাই থেকে প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা অবশ্য বেশি তাদের। শেষ দুই ম্যাচে জয় পেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুইয়ে থাকার সম্ভাবনাও থাকছে দলটির। হায়দরাবাদের প্রথম চারে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় ৯৭ শতাংশ। কলকাতা ও রাজস্থানের সঙ্গে তাদের একই পয়েন্টে শেষ করার সম্ভাবনা ৩ শতাংশ।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু : শুরুর দিকে টানা কয়েক ম্যাচে হারলেও শেষ পাঁচ ম্যাচ জিতে বড় চমক দিয়েছে আরসিবি। ১৩ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অবস্থান আরসিবির। শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই কোহলিদের সামনে। সেই ম্যাচ জিতলেও তাকিয়ে থাকতে হবে নেট রানরেটের দিকে।
দিল্লি ক্যাপিটালস : শেষ পাঁচ ম্যাচের দুটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে দিল্লি। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে আছে দলটি। আগামীকাল ঘরের মাঠে লখনৌর বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে দিল্লি। সেই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি নেট রানরেটের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে দলটিকে। দিল্লির প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা ৩১.৩ শতাংশ।
লখনৌ সুপার জায়ান্টস : ১২ ম্যাচে ৬ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের সাতে অবস্থান লখনৌর। এখনও দুটি ম্যাচ থাকায় তাদের প্লে-অফের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে, শেষ দুই ম্যাচে হার ভাবাচ্ছে দলটিকে। এর ওপর দল মালিকের সঙ্গে অধিনায়ক কেএল রাহুলের সাম্প্রতিক বিতর্ক দলের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বাকি দুই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি নেট রান রেটের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে দলটিকে। এক ম্যাচ কম খেলায় দিল্লির তুলনায় তাদেরই প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। প্রায় ৫৬ শতাংশ।
গুজরাট টাইটান্স : আইপিএলের গত আসরের রানার্স আপ গুজরাট ১২ ম্যাচে ৫ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের আটে থাকলেও তাদেরও ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে প্লে-অফে যাওয়ার। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে, পরের দুই ম্যাচ জিতেও তাদের প্লে-অফে যেতে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকে। নেট রানরেট কম থাকায় তাদের সম্ভাবনা মোটে ১৬ শতাংশ।