ব্রাজিলকে হতাশায় ডুবিয়ে অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতল যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বব্যাপী মেয়েদের ফুটবলকে ছড়িয়ে দিতে যে কজনের অবদান আছে তাদের অন্যতম ব্রাজিলের মার্তা। ৩৮ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের সুযোগ ছিল ক্যারিয়ারের শেষটা অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতে রাঙানোর। তবে, তার সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। মেগা ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে ফের অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতল যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েরা।
গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) পার্ক দে প্রিন্সেসে অলিম্পিকসের নারী ফুটবলে আরও একবার সোনা জয় করল যুক্তরাষ্ট্র। ফাইনালে ১-০ গোলে ব্রাজিলকে হারাল তারা। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ম্যালোরি সোয়ানসন। মেয়েদের ফুটবলে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ জয়ের রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের ছিল। এবারের জয়ে পাঁচ স্বর্ণে রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ হলো তাদের।
মার্তা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন এটাই তার শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে। তাই সতীর্থরা চাইছিলেন সোনা উপহার দিয়ে মার্তাকে বিদায় জানাতে। কিন্তু তা আর হলো কই। মাঠের ফুটবলেও লড়াই হলো ভালোই। শেষ পর্যন্ত ওই গোলেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন সোয়ানসন।
প্রথমার্ধে দারুণ লড়াই করলেও গোলের দেখা পায়নি কেউ। গোলশূণ্য বিরতিতে যায় দুদল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলকে কাঙ্খিত গোল এনে দেন ম্যালোরি সোয়ানসন। করবিন আলবার্টের দারুণ পাস থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। এই গোলে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে নিজের শততম ম্যাচটিও স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল, তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় তা কাজে লাগাতে পারেনি দলটি।
ব্রাজিল আর মার্তার জন্য অলিম্পিকটা আক্ষেপ হয়েই রইল। তিনবার তারা পেল রুপা। ২০০৪, ২০০৮-এর পর ২০২৪ সালের ফাইনালে তারা হারল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। প্রতিবারই দলে ছিলেন মার্তা। ফাইনাল শেষে সতীর্থরা সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এসেছিলেন মার্তাকে। তবে ভেঙে না পরে মার্তাই উল্টো পিঠ চাপড়ে দেন তাদের।