বোলিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়ে ছুটছেন মিরাজ
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট জয়ের অন্যতম নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ইতিহাস গড়া সেই টেস্টের শেষ ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে মূলত ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছেন তিনি। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্টেও বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। দুর্দান্ত স্পিন ঝলকে দ্বিতীয় টেস্টেও যথারীতি পাকিস্তানি ব্যাটারদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
বাংলাদেশি এই স্পিনারের কাছেই এক দিনেই মুখ থুবড়ে পড়েছে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। আজ শনিবার ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান পুরো দিনের খেলাও খেলতে পারেননি। মিরাজের স্পিনে নীল হয়ে থেমেছেন ২৭৪ রানে।
আজ নিজের উইকেট উৎসবের শুরুটা শান মাসুদকে দিয়ে। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের চিন্তার কারণ হয়ে ওঠেন মাসুদ। লাঞ্চের পর এই মাসুদকে এলবির ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেন মিরাজ। এরপর একে একে বিদায় করেন সায়েম আয়ুব,খুররাম, মোহাম্মদ আলি ও আবরার আহমেদকে। শেষ শিকারটি ছিলেন আবরার। যার উইকেটটি নিয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে পাকিস্তানের মাটিতে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন মিরাজ। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ রফিক প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
আজ ৫ উইকেট নিতে মিরাজ খরচ করেন ৬১ রান। ৪৫ ম্যাচের ক্যারিয়ারে মিরাজের দশম ফাইফার এটি। এক ইনিংসে সর্বোচ্চবার ৫ উইকেট নেওয়ার তালিকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার উপরে সাকিব আল হাসানের নাম। তিনি টেস্টে মোট ১৯ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন ১২ বার।
সবমিলিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে দিনটা দারুণ কেটেছে মিরাজের। ৫ উইকেট নিয়ে রাওয়ালপিন্ডির অনার্স বোর্ডেও নাম লিখেছেন এই অলরাউন্ডার। তাছাড়া তার সঙ্গে দ্বিতীয় দিনটা দারুণ কেটেছে বাংলাদেশেরও। এই টেস্টের প্রথম দিন ভেস্তে যাওয়াতে অনেকেই ফল ড্র হিসেবেই দেখেছেন। তবে মিরাজ পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে একদিনের ভেতর গুড়িয়ে দিয়ে ফল পাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছেন। এবার ব্যাট হাতে সাদমান-সাকিবরা ব্যবধান গড়ে দিতে পারলেই আরেকটি ইতিহাস গড়তে পারবে বাংলাদেশ। সেটি হলো পাকিস্তানের মাটিতে সাদা পোশাকে প্রথমবার সিরিজ জয়ের ইতিহাস। প্রথম টেস্টের পর বাংলাদেশ একই সিরিজে আরেকবার ইতিহাস গড়তে পারে কি না সেটাই দেখার অপেক্ষা!