‘টেস্টে বাংলাদেশের বর্তমান দল সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ’
সাদা পোশাকে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানটা ভালো নয়। অনেক বছর খেললেও এই ফরম্যাটের তিক্ততা খুব একটা কাটেনি বাংলাদেশের। তবে, কদিন আগে পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ জয়ের ইতিহাস যেন এই ফরম্যাটে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে।
ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটের উপরের সারির দলকে তাদেরই মাঠে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে বাংলাদেশে। দুই টেস্টের ১০ দিনের ৯দিনই দাপট দেখিয়েছেন শান্তরা। সিরিজ জিতে নিয়েছেন ২-০ ব্যবধানে।
এমন একটি সিরিজের পর কিছুটা স্বস্তির ঠেকুর তুলতেই পারে বাংলাদেশ। সেটাই করেছেন পাকিস্তানে সাফল্য পাওয়ার পেছনের মাস্টার চন্ডিকা হাথুরুসিংহ। তার অধীনেই সাদা পোশাকে এই সাফল্যের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কান এই কোচও বিশ্বাস করেন, টেস্টে অন্তত বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের দলটি আগের সবচেয়ে বেশি ভারসাম্যপূর্ণ দল।
পাকিস্তানের পর একই ফরম্যাটে ভারতকে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। এবারও প্রতিপক্ষের মাঠ। লড়াইটা এবার আরও কঠিন। স্বাভাবিকভাবে ভারত এই ফরম্যাটে বর্তমানে শীর্ষ সারির দল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে তাদের অবস্থানটা এক নম্বরে। আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও দুই নম্বর জায়গাটা তাদের। তার ওপর ভারতের ঘরের মাঠ। সবমিলিয়ে দ্বিতীয়বার কঠিন পরীক্ষায় নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।
মূল লড়াই শুরুর আগে নিজের শিষ্যদের নিয়ে স্বস্তির খবর শোনালেন বাংলাদেশ কোচ। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেছেন, 'আমি মনে করি, আমার মেয়াদে বাংলাদেশে তৈরি হওয়া সম্ভবত এটাই সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল।'
নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে কোচ বলেছেন, ‘অনেক পেসার নিয়ে আমরা এসেছি এবং আমরা ভালো ফাস্ট বোলার পেয়েছি। পাশাপাশি আমরা সত্যিই ভালো অভিজ্ঞ স্পিন আক্রমণ পেয়েছি। তারপর ব্যাটিং, আসলে একটি ব্যাটিং গভীরতা আছে আমাদের দুটি কারণে। এক হল আমাদের দুই স্পিনার প্রকৃতপক্ষে ব্যাটারও, যারা টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন। এরপরে আমাদের দুই উইকেটরক্ষক যারা আমাদের প্রধান ব্যাটার। সুতরাং, এই সিরিজের জন্য দলের ভারসাম্য সত্যিই দারুণ। এটি আসলে আমাদের অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস দেয় যে আমরা সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।’
সেই সঙ্গে পাকিস্তান সফরে জয়ের আত্মবিশ্বাসও ভারতে জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ। তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই, এটা (পাকিস্তান) অনেক আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে এই সিরিজের জন্য। সেটি কিন্তু সিরিজের ফলের জন্য নয়, আমরা যেভাবে সিরিজটি খেলেছি, কিছু পরিস্থিতি যেভাবে সামাল দিয়েছি, দুটি টেস্টেই আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম এবং সেখান থেকে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে খেলোয়াড়েরা যেভাবে অবদান রেখেছে, এসব কারণেই এই সিরিজে অনেক আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি আমরা।’
ভারতের বিপক্ষে মাঠের লড়াই শুরু আগামী বৃহস্পতিবার। চেন্নাইতে দুদলের টেস্ট শেষে শান্তরা যাবেন কানপুরে। সেখানেই হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এরপর বাংলাদেশ ও ভারত মুখোমুখি হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। আগামী ৬ অক্টোবর প্রথম টি-টোয়েন্টি হবে গোয়ালিয়রে। এরপর ৯ অক্টোবর দিল্লিতে ও ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদ তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশ দলের ভারত সফর।