৫২ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা ভারতের
ঝড়ো ব্যাটিং দেখে বোঝা যাচ্ছিল আজই বাংলাদেশের করা ২৩৩ রান তাড়া করে ইনিংস ঘোষণা করবে ভারত। হয়েছেও তাই, ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৮৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ডিক্লেয়ার করল ভারত। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। বাংলাদেশ পিছিয়ে ৫২ রানে।
অশ্বিনকে ফেরালেন সাকিব, শেষের পথে ভারত
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৮ ওভারেই বাংলাদেশের করা ২৩৩ রান পেরিয়ে লিড নেয় ভারত। অবশ্য লিড নিলেও নিয়মিত উইকেট হারাচ্ছে স্বাগতিকরা। এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করছেন কেএল রাহুল। এবার অশ্বিনকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নিলেন সাকিব।
পন্থের পর কোহলিকে ফেরালেন সাকিব
ব্যাট হাতে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও বল হাতে দারুণ ছন্দে আছেন সাকিব আল হাসান। এরইমধ্যে তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। সবশেষ সাজঘরে পাঠালেন তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলিকে। সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। আউটের আগে করেন ৩৫ বলে ৪৭ রান। সবমিলিয়ে ২৫০ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল স্বাগতিকরা।
কোহলি-রাহুলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় লিড নিল ভারত
কানপুর টেস্টে মাত্র দুইদিন বাকি থাকায় প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২৩৩ রানকে যথেষ্ঠ মনে হচ্ছিল ড্রয়ের জন্য। তবে, সেই সংগ্রহকে পাত্তা না দিয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করে ভারত। মাত্র ২৭ ওভারেই টপকে গেল বাংলাদেশের সংগ্রহকে। সবমিলিয়ে কানপুর টেস্টে বেশ চাপে সফরকারীরা। বাংলাদেশকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা স্বাগতিকদের। ফিফটির পথে রয়েছেন দুই ব্যাটার বিরাট কোহলি-কেএল রাহুল।
খালেদের অবিশ্বাস্য ভুল, জীবন পেলেন কোহলি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ভুল হওয়াটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। যেখানে ব্যাটিং দাপটে রান পাহাড় গড়ার পথে ভারত। সেখানে কোহলিকে আউটের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ খালেদ। ঘটনা ইনিংসের ১৯তম ওভারে। খালেদের বল কিছুটা ঠেলে দিয়ে রান নেওয়ার লক্ষ্য ছিল কোহলির। অপর প্রান্ত থেকে প্রাথমিকভাবে পন্থ সাড়া দিলে এগিয়ে যান কোহলি। উইকেট ছেড়ে পুরোপুরি বেরিয়ে যান এই ব্যাটার। তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত বদলে কোহলিকে নিষেধ করেন পন্থ। এমন দোটানার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কোহলি। উইকেটের মাঝে এসে রীতিমত থেমে যান। এই সুযোগে খালেদ দ্রুত দৌড়ে এসে বল হাতে তুলে নিলে আর ক্রিজে ফেরার চেষ্টাই করেননি কোহলি। তবে, অবিশ্বাস্যভাবে সেই বল হাত দিয়ে স্ট্যাম্পে না লাগিয়ে ছুঁড়ে মারেন খালেদ। যা স্ট্যাম্পের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। আর এখন সেই কোহলি ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে।
বিরতির পর গিলকে ফেরালেন সাকিব
উইকেটের দেখা আরও আগেই পেতেন সাকিব। তবে, চা বিরতির আগে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান রিশাভ পন্থ। অবশ্য পন্থ বাঁচলেও বিরতির ঠিক পরই গিলকে ফেরালেন সাকিব। তার বল লং অফের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। আউটের আগে করেন ৩৬ বলে ৩৯ রান।
ভারতের ঝড়ো ব্যাটিং, চাপে থেকে বিরতিতে বাংলাদেশ
দেখে মনে হতে পারে এ যেন সাদা পোশাকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে ভারত। কানপুরে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২৩৩ রানের সংগ্রহ তাড়ায় নেমে ঝড়ো গতিতে রান তুলেছেন রোহিত-জয়সওয়ালরা। যার ফলে দ্বিতীয় সেশনে মাত্র ১৬ ওভারে ২ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৩৮ রান তুলেছে ভারত। এখনও পিছিয়ে ৯৫ রানে। পন্থ ৪ ও গিল ৩৭ রানে অপরাজিত।
জয়সওয়ালকে ফেরালেন হাসান
ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেছে ভারত। ২৩৩ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মাত্র ১৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে একশর বেশি রান তুলেছে স্বাগতিকরা। রোহিত-জয়সওয়ালের পর রান পেয়েছেন শুভমান গিল। অবশ্য ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জয়সওয়ালকে ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ। ৫১ বলে ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।
টেস্টে ভারতের দ্রুততম শতকের রেকর্ড
কানপুরে রীতিমত ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছে ভারত। দারুণ শুরুর পর রোহিত ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন জয়সওয়াল। গিলকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট হাতে তান্ডব চালাচ্ছেন এই ব্যাটার। দ্রুততম ফিফটির পর দ্রুততম দলীয় শতক পূরণ করে ভারত। এরইমধ্যে ফিফটি তুলে নিয়েছেন জয়সওয়াল।
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা রোহিতকে ফেরালেন মিরাজ
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২৩৩ রান তাড়ায় নেমে দারুণ শুরু করে ভারত। দুই ওপেনার মিলে মাত্র ৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলে ৫৫ রান। তবে, ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা রোহিতকে ফিরিয়ে কিছুটা স্বস্তি দিলেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের লো হয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন রোহিত। ১১ বলে খেলেন ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস।
ব্যাট হাতে উড়ন্ত শুরু ভারতের
লক্ষ্য ২৩৩ রান। সাদা পোশাকে এই সংগ্রহ খুব বেশি নয়। সেই সংগ্রহ ছুঁতে রীতিমত ঝড়ো ব্যাটিং করছেন ভারতীয় ওপেনাররা। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়াল মিলে মাত্র ৩ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তুলেছেন ৫০ রান। যা রীতিমত অবিশ্বাস্য। এর মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় ফিফটির বিশ্বরেকর্ড গড়ল স্বাগতিকরা।
লাঞ্চের পরই অলআউট বাংলাদেশ
বাকি ব্যাটাররা আসা–যাওয়ার মধ্যে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন মুমিনুল হক। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান করেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ১৯৪ বলে ১০৭ রান করেছেন মুমিনুল হক। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ।