রোহিতের পর গিলকে ফেরালেন মিরাজ
দিনের এখনও বাকি দুই সেশন। তবে, ভারতের জয়ের জন্য দরকার মাত্র ৯৫ রান। মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উড়ন্ত শুরু করেছে স্বাগতিকরা। যদিও প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও রোহিতকে ফেরালেন মিরাজ। ৭ বলে ৮ রান করে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর দলীয় ৩৪ রানের মাথায় ফেরান আরেক ব্যাটার শুভমান গিলকে। ১০ বলে ৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং, জিততে ভারতের চাই ৯৫ রান
কদিন আগেই রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। ধারণা ছিল হয়তো ভারতেও তেমন কিছু একটা করবে বাংলাদেশ। তবে, সেই প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও পূরণ করতে পারেনি সফরকারীরা। চেন্নাইয়ের পর কানপুর টেস্টে হতশ্রী ব্যাটিং করেছেন শান্তরা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হলো বাংলাদেশ। যার ফলে জিততে ভারতের সামনে লক্ষ্য ৯৫ রান।
ফিরলেন সাকিব-মিরাজ, শেষের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
বৃষ্টিতে দুই দিন ভেস্তে যাওয়ার পরও কানপুর টেস্টে হারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। যার দায় পুরোটাই ব্যাটারদের। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও লিটন-শান্তরা পারেননি সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে। আর এবার সাজঘরে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই ব্যাটার। এরপর টিকতে পারেননি আরেক ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজও। বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে রিশাভ পন্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। আউটের আগে করেন ১৭ বলে ৯ রান।
শান্তর পর লিটনের বিদায়, ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
কানপুর টেস্টে কি তবে হেরে যাবে বাংলাদেশ? পঞ্চম দিনের প্রথম এক ঘণ্টা শেষে উঠেছে এমন প্রশ্ন। কেননা অহেতুক সব শট খেলে উইকেট বিলিয়ে দিচ্ছেন লিটন-শান্তরা। শান্তর পর এবার লিটনকে বিদায় করে বাংলাদেশকে পাড়াহসম চাপে ফেলল রবীন্দ্র জাদেজা। ৯৪ রানে ৬ উইকেট হারাল সফরকারীরা।
রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে এলেন শান্ত
মুমিনুল হকের বিদায়ের পর দুই ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান ইসলাম মিলে দলকে ভালোই টেনে নিচ্ছিলেন। তবে, ফিফটি রানের জুটি গড়ার পর খেই হারালেন অধিনায়ক শান্ত। দলীয় ৯১ রানে রবীন্দ্র জাদেজার বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ১৯ রান। বাঁহাতি এই ব্যাটারের বিদায়ে চতুর্থ উইকেট হারাল সফরকারীরা।
কানপুর টেস্টে লিড নিল বাংলাদেশ
দিনের শুরুতে ব্যাটার মুমিনুল হক বিদায় নিলেও ওপেনার সাদমান ইসলাম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। এই দুইজেনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে এরইমধ্যে কানপুুরে লিড নিয়েছে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ মুমিনুল, ফিরলেন দিনের শুরুতেই
কানপুর টেস্টে শেষদিনটা যে নাটকীয় হবে, তা আগেই ছিল অনুমিত। তাই বলে মাঠে নামার ১০ মিনিটের মাথায় উইকেট হারাবে বাংলাদেশ। এটা অনেকটাই অপ্রত্যাশিত ছিল। রবীন্দ্রন অশ্বিনের বলে সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে থাকা কেএল রাহুলের হাতে ধরা পড়েন। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকালেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করতে পারেননি এই ব্যাটার। ফিরেছেন ৮ বলে ২ রান করে।
মান বাঁচানোর লড়াইয়ে পঞ্চম দিনে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
বৃষ্টির বাধায় প্রায় আড়াই দিন খেলা পণ্ড হওয়ার পরও যে কানপুর টেস্টের শেষটা এভাবে জমে যাবে, তা কে ভেবেছিল। শেষদিনে একদিকে ড্রয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশের, অন্যদিকে জয়ের খোঁজে ভারত। সবমিলিয়ে শেষ দিনটা হতে যাচ্ছে উত্তেজনায় ঠাসা। চতুর্থ দিনশেষে চাপে থাকা বাংলাদেশ পঞ্চম দিনে কোনো ভুল করতে নারাজ।
দুই উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিনশেষ বাংলাদেশের
বৃষ্টিবিঘ্নিত কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় আর তৃতীয় দিন বৃষ্টির কারণে খেলাই হয়নি। চতুর্থ দিনে এসে দুই দলের মিলিয়ে পড়লো ১৮ উইকেট। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অলআউট হওয়ার পর ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তোলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের লিড পায় রোহিত শর্মার দল। জবাবে চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৬ রান। সাদমান ইসলাম ৭ আর মুমিনুল হক ০ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে ২৬ রানে। ফলে কানপুর টেস্টের ম্যাচ বাঁচানোই বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য।
রেকর্ডের বন্যা বইয়ে ইনিংস ঘোষণা ভারতের
২৮৫ রান তুলতেই ৯ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। এরপর ইনিংস ঘোষণা দেয় তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে লিড হয়েছে ৫২ রানের। দিনের খেলা আরও ৪৫ মিনিট বাকি রয়েছে। ৩৪.৪ ওভারের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে খালেদ আহমেদের তালুবন্দি হন আকাশ দীপ। ৫ বলে ২ ছক্কায় ১২ রান করেন তিনি। বল হাতে সাকিব ৪টি ও মিরাজ ৪টি উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ নেন ১টি উইকেট।